যারা বিশ্বাস করেন শুধু তাদের জন্যে লিখছি। আপনারা জানেন, আল কোরাণের বাণী একটি সার্বজনীন বানী। এই গ্রহের যেকোন মানুষ এই বাণীতে বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে পারেন। কোরাণ শুধু মুসলমানদের জন্যে নয়। এই নিবন্ধের শিরোনাম দেখে আপনারা ভাবছেন উইকিলিক্সের সাথে আল কোরাণের সম্পর্ক কোথায়? আছে সম্পর্ক। ব্যক্তির গোপনীয়তা বা রাস্ট্রের গোপনীয়তা নিয়ে আল কোরাণ সুস্পস্ট ভাষায় নির্দেশনা দিয়েছে। এই দুনিয়ায় আমাদের জীবনে নানা গোপনীয়তা আছে। অনেক গোপনীয়তা আছে যা আমাদের অতি প্রিয়জনেরাও জানেনা। জগতবাসীও জানেনা। তেমন গোপনীয়তা সম্পর্কে সুরা বণি ইসরাইলে আল্লাহপাক বলেন, মানুষের গোপন বিষয় তার কন্ঠলগ্ন কর রেখেছি। তার মুখের কথা সব দুইজন ফেরেস্তা লিপিবদ্ধ করে রাখছে। কেয়ামতের দিন সেই অদৃশ্য কিতাব সে খোলা পাবে এবং সব গোপনীয় বিষয় সে দেখতে পাবে। সে নিজেই নিজের বিচার করতে পাবে। কিছু গোপনীয়তা আছে যা কারো ক্ষতি করেনা। তা গোপন রাখার জন্যেই আল্লাহপাক গোপন রাখার জন্যেই বলেছেন। কিন্তু মানুষের বা সৃস্টির ক্ষতি করে এমন সব গোপন বিষয় প্রকাশ করে দিতে আল্লাহপাক নির্দেশ দিয়েছেন।
উইকিলিক্স মানুষের গোপন কথা জানেনা। আমেরিকা ও তার বন্ধুরা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ ও মানুষের যে অন্যায় কাজ করে বেড়াচ্ছে তার কিছু উইকিলিক্স প্রকাশ করেছে। এতে নাকি আমেরিকা বন্ধুদের মান ইজ্জত নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে গেছে। এতে নাকি বিশ্ব কূটনীতিতে বড় রকমের ধ্বস বা সুনামী নেমে এসেছে। আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন গোপন বিষয় ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বন্ধুদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। উইকিলিক্সের ওয়েব হোস্টিং কোম্পানী নিজেদের একাজ থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে।ফলে আমেরিকা থেকে এই ওয়েব সাইটের প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু উইকিলিক্স এখনও তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে অন্য একটি দেশ থেকে। ইতোমধ্যেই উইকিলিক্সের প্রতিস্ঠাতা অ্যাসান্জকে হাইটেক টেরোরিস্ট বলে প্রচার করা হয়েছে। অ্যাসান্জ বলেছেন, তাকে যদি আমেরিকার কাছে হস্তান্তর করা হয় তাহলে তারা তাকে হত্যা করবে। আমেরিকা মনে করে উইকিলিক্স সবচে বেশী নাজুক পরিস্থিতিতে ফেলেছে তাদের প্রশাসনকে। একথা সত্যি যে , বিশ্বব্যাপী আমেরিকার নজরদারী ও গোয়েন্দাগিরির সব খবর ফাঁস করে দিয়েছে। সভ্য ও গণতান্ত্রিক আমেরিকার মুখোশ খুলে পড়েছে। আমেরিকা বিশ্ববাসীকে গনতন্ত্র মানবতা তথ্য অধিকার শান্তির কথা শোনায়। সেই আমেরিকা কথায় কথায় ভিনদেশ আক্রমন করে। লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করে। মিথ্যা অভিযোগ তুলে ইরাক আক্রমন করে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। সেই দেশের প্রেসিডেন্ট সাদ্দামকে ফাঁসি দিয়েছে।এত কিছুর পরেও ইরাকে শান্তি আসেনি। গনতন্র্রও আসেনি। তারপর তালেবান ও আল কায়দার কথা বলে আফগানিস্তান আক্রমন করেছে। এখনও সেখানে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। কথায় কথায় ইরাণ ও উত্তর কোরিয়াকে ধমকাচ্ছে। অনেকদিন ধরে শুনে আসছি আফগানিস্তানে আলকায়েদার হেড কোয়ার্টর আছে এবং সেখানে কোথাও নাকি ওসামা বিন লাদেন লুকিয়ে আছে। পাহাড়ে পাহাড়ে বোমা ফেলেও তারা নাকি লাদেনকে ধরতে বা মারতে পারেনি। লাদেন নাকি এখনও কোথও লুকিয়ে আছে। ইদানিং আর আমেরিকার মুখে লাদেনের কথা শুনিনা। ৯/১১তে কে বা কারা টুইন টাওয়ারে হামলা করেছে তাও এখনও বিশ্ববাসীর কাছে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। অথচ সেই ৯/১১র ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমেরিকা জগতটাকে টাল মাটাল করে তুলেছে। ৯/১১কে কেন্দ্র করে আমেরিকানরা বহু ফিল্ম তৈরি করেছে। বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের হেনস্থা করে চলেছে। এক সময় কমিউনিস্টদের শায়েস্তা করার জন্যে আমেরিকা মুসলমানদের ব্যবহার করেছে। তখন ইসলাম ছিল আমেরিকার প্রিয় বন্ধু। ইসলামপন্থিদের আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের দালাল বলা হতো। সেই ইসলামপন্থিরা এখন আমেরিকার শত্রু। তারা আল্লাহর নবীকেও সন্ত্রাসী বলে কার্টুন বানাচ্ছে।
উইকিলিক্স ফাঁস করে দিয়েছে যে, মধ্যপ্রাচ্য ও আরব দেশগুলো গোপনে আমেরিকাকে অনুরোধ করেছে ইরাণ আক্রমন করার জন্যে। ইরাণের ভয় দেখিয়ে আমেরিকা ইতোমধ্যেই কয়েক বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে সাউদী আরবের কাছে। এই আমেরিকা বিশ্বব্যাপী মুক্ত তথ্য প্রবাহের আন্দোলন করে আসছে। সেই আমেরিকা এখন বলছে রাস্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস বা প্রকাশ করা যাবেনা। তাহলে আমেরিকার গনতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার গালভরা বুলি কোথায় গেল। বাংলাদেশেও তথ্য কমিশন গঠিত হয়েছে। বলা হচ্ছে সকল নাগরিকের তথ্য জানার অধিকার রয়েছে। উইকিলিক্স বাংলাদেশ বিষয়েও অনেকগুলো তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে। তন্মধ্যে প্রধান বিষয় গুলো হলো মাদ্রাসা শিক্ষা সংস্কার ও র্যাবের ট্রেনিং। এক সময় রেবের যে ইতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছিল তাতে এখন ধ্বস নেমেছে। কারণ উইকিলিক্সের বদৌলতে বাংলাদেশের মানুষ জানতে পেরেছে রেবের ট্রেনিং দিচ্ছে যুক্তরাজ্য। এরপর থেকেই রেব যেখানে সেখানে ক্রসফায়ারের নামে মানুষ হত্যা করছে। একন রেবকে কেউ জনগনের বন্ধু মনে করেনা। বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠনের কর্মী ও নেতাদের টেররিস্ট আখ্যা দিয়ে ধর্মীয় বইকে জেহাদী বই বলে হাতে ধরিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। অনেকের উপর টর্চার করা হচ্ছে। ৫০/৬০ সালের দিকে ছাত্র-যুবকদের হাতে সোভিয়েত দেশ ও পিকিং তিভিউ ধরিয়ে গ্রেফতার করা হতো। এখন ইসলামিক বই ধরিয়ে করা হচ্ছে। আমেরিকার লশ্য দুনিয়াকে তার তাবে বা প্রভাবে নিয়ে আসা। একের বিরুদ্ধে অন্যকে লাগিয়ে দিয়ে বা উসকে দিয়ে আমেরিকা সুবিধা আদায় করে। অথচ নিজেকে গনতন্ত্রের ধ্বজাধারী, মানবতার রক্ষাকারী, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষাকারী বলে জাহির করে। সত্যিকার দেশ প্রেমিকদের যখন সে হাত করতে পারেনা তখন সেই দেশের সরকার বা সমাজকে দিয়ে সেই দেশ প্রেমিককে শাস্তি দেয়। উইকিলিক্স আমেরিকার মুখোশ খুলে দিয়েছে। তাই সে এখন উইকিলিক্স বন্ধ করে দিতে চায়। সাথে সাথে উইকিলিক্সের প্রতিস্ঠাতা অ্যাসান্জকে শাস্তি দিতে চায়।
আমেরিকা ও দালালরা তাদের তাবেদার মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রচার করে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশের মাদ্রাসার ছাত্ররা ইসলামের জেহাদে উদ্বুদ্ধু হয়ে জংগী হয়ে যাচ্ছে। তাই মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। সংস্কারের পুরো কারিকুলাম বা প্রেসক্রিপশন দিয়েছে আমেরিকার তাবেদার যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশের বামধারার শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ এবং তার সরকার যুক্তরাজ্যের প্রেসক্রিপশন মোতাবেক নতুন শিক্ষানীতি তৈরি করেছে এবং গায়ের জোরে সেই শিক্ষানীতি মাদ্রাসার উপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। ওই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আলেম সমাজ ও মাদ্রাসার ছাত্ররা আন্দোলন করছেন। অপরদিকে মাদ্রাসা ছাত্রদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে দিচ্ছেনা। কি কারনে মাদ্রাসা ছাত্রদের ভর্তি হতে দেয়া হচ্ছেনা তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। মাদ্রাসা ছাত্ররা মামলায় জিতেও ভর্তি হতে পারছেনা।
শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কার নতুন কোন বিষয় নয়।
১৭৮০ সালে কোলকাতায় প্রথম মাদ্রাসা প্রতিস্ঠিত হয়। এটা ছিল একটা বেসরকারী উদ্যোগ। পরে ১৮৬০ সালের দিকে বৃটিশ সরকারের উদ্যোগে আলিয়া মাদ্রাসা প্রিস্ঠিত হয়। এই মাদ্রাসার সিলেবাস বা কারিকুলাম ঠিক করেছিল ইংরেজ সাহেবরাই। ইরেজদের আলিয়ার সাথে দ্বিমত পোষন করেই দেওবন্দ মাদ্রাসা প্রতিস্ঠিত হয়। মাদ্রাসা শব্দটি এসেছে হিব্রু মিদরাস শব্দ থেকে। মিদরাস মানে স্কুল বা বিদ্যালয়। এটা যে শুধু ধর্মীয় শিক্ষার স্কুল বা বিদ্যালয় হবে তা নয়। সকল রকম শিক্ষাই চলতে পারে। তবে সমাজের পরিবর্তনের সাথে সাথে শিক্ষা ব্যবস্থারও পরিবর্তন বা সংস্কার হয়। পরিবর্তন বা সংস্কার কি রকম হবে তা নির্ভর করে সমাজ ও সরকারের রাজনৈতিক চরিত্রের উপর।এক সময় সমাজের নামীদামী পরিবার গুলোতে আরবী শিক্ষার খুব প্রচলন ছিল। এখন আর সে রকম রেওয়াজ নেই। এখন নৈতিকতা শিক্ষার গুরুত্ব কমে গেছে। মূল লক্ষ্য কি পড়লে ভাল চাকুরী পাওয়া যাবে। কি রকম চাকুরী তাও নির্ভর করে সরকারের চরিত্র কি রকম তার উপর। এক সময় উকিল ডাক্তার ইন্জিনিয়ার হওয়ার খুব রেওয়াজ ছিল। তারপর এলো সরকারী বড় চাকুরী করতে হলে সিএসপি বা ইপিসিএস হওয়া। কারণ সরকারী বড় চাকুরীতে ক্ষমতার দাপট ছিল। ২৫/২৬ বছর বয়সে মহকুমা হাকিম হওয়া যেতো। মহকুমা হাকিম মানে মহকুমার রাজা বা নবাব। সময় ও সমাজের পরিবর্তনে এখন কেউ হাকিম হতে চায়না। কারন ওতে এখন কোন গ্ল্যামার বা ক্ষমতা নেই। এখন ব্যবসা বাণিজ্যের যুগ। তাই ছেলে মেয়েরা ব্যবসা সংক্রান্ত লেখাপড়া করছে। একেবারে হাল সময়ের ছেলে মেয়েরা নিজেদের আবেগ অনুভুতিকে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা ভাল লেখক সাহিত্যিক কবি খেলোয়াড় অভিনেতা গায়ক শিল্পী ফ্যাশন ডিজাইনার শেফ হতে চায়। ভাল করলে সবখানেই জীবিকা আছে।
২০১১ সালে এসেও ইংরেজ সাহেবরা স্বাধীন বাংলাদেশের মাদ্রাসার সিলেবাস ঠিক করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে শুনতেই কেমন যেন লাগছে। আমাদের সরকারও নাকি ইংরেজ সাহেবদের সংস্কার প্রস্তাবে রাজী হয়েছে। তারা নাকি সাথে সংস্কারের খরচপাতিও দিবে। জংগী বা ইসলামিক টেররিস্টদের দমন করার জন্যেই নাকি আমেরিকা আর যুক্তরাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। ওলামা মাশায়েকরা মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার চান। কিন্তু সরকার যেভাবে চাইছেন সেভাবে চাচ্ছেন না। ফলে সরকার এবং ওলামা মাশায়েকগন এখন মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছেন।আমিতো মনে করি আমাদের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কার অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাদ্রাসা বা ধর্মীয় শিক্ষার প্রতিস্ঠান গুলো ছাড়া বাকি সব স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে একশ’ নম্বরের ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামুলক করা দরকার। আমাদের সচিব বা বিচারপতিদের ধর্মীয় শিক্ষা না থাকার ফলে তারা প্রায় বিতর্কিত রায় দিয়ে সমাজে অশান্তি সৃস্টি করেন। এমন কি সচিবরাও ধর্মীয় বিষয়ে অজ্ঞতার কারনে অনেক অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন।
বাংলাদেশে মাদ্রাসা গুলোতে সারা বছর কটা মারা মারি হয় এমন প্রশ্নে আপনার উত্তর কি হবে। আমি বলছি, বছরে একটাও না। কিন্তু তথকথিত স্যেকুলার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ গুলোতেতো সারা বছে মারামারি গোলাগুলি লেগে আছে। এসব শিক্ষা প্রতিস্ঠানের ছাত্র নামধারীরাতো কথায় কথায় অস্ত্র বের করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে। অথচ পশ্চিমাদের দৃস্টিতে বাংলাদেশের মাদ্রাসা ছাত্ররা জংগী, তালেবান আল কায়েদা। আর আমাদের চলমান তথাকথিত স্যেকুলার সরকার পশ্চিমাদের উসকানিতে নেচে চলেছে। ইতোমধ্যে প্রধান মন্ত্রীর উপদেস্টা ও সাবেক জাঁদরেল আমলা এইচ টি ইমাম হরতাল প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনার জন্যে ওলামা মাশায়েকদের নেতাদের সাথে মিলিত হয়েছিলেন। উপদেস্টা সাহেবের ওয়াদা মোতাবেক ওলামা মাশায়েক নেতারা হরতাল প্রত্যাহার করেছিলেন। কিন্তু পরে উপদেস্টা সাহেব বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ওলামা মাশায়েকদের দানী অযৌক্তিক। ফলে সমস্যার কোন সমাধান হয়নি।
লেখাটি শুরু করেছিলাম রাস্ট্র সরকার বা ব্যক্তির গোপনীয়তা নিয়ে কথা বলার জন্যে। আল্লাহপাকের রাসুল(সা) বলেছেন তাঁর জীবনে কোন গোপনীয়তা নেই। আল্লাহপাক তাঁর জীবনের সবকিছু প্রকাশ করে দিয়েছেন। তবে তিনি বলেছেন, মানুষের ক্ষতি করে এমন কোন গোপনীয়তা থাকা উচিত নয়। সেদিক থেকে বিবেচনা করতে গেলে আমেরিকা বিশ্ববাসীর বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। উইকিলিক্স আমেরিকার ক্ষতিকর গোপনীয়তা প্রকাশ করে দিয়ে মানবজাতির উপকার করেছে। পৃথিবীর দেশে দেশে সরকার গুলো এমন অনেক কাজ করে থাকেন যা জনগন থেকে গোপন রাখা হয়। অথচ বলা হয় জনগনই দেশের বা রাস্ট্রের মালিক। বাংলাদেশ সরকারও বিভিন্ন রাস্ট্রের সাথে অনেক চুক্তি করেছে যা জনগন বা জাতীয় সংসদ জানেনা। ফলে সরকারের কোন জবাবদিহিতা নেই।
নয়া দিগন্ত ৯ জানুয়ারী,২০১১
You must be logged in to post a comment.