ভারতের পরামর্শে সরকার দমন নীতি অব্যাহত রাখবে / এরশাদ মজুমদার
বংগবন্ধু ভারতের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে ৭৪ সালে পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত ওআইসি সম্মেলনে অংশ গ্রহন করেছিলেন। তখন থেকে ভারত বংগবন্ধুকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছিল।। ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট ভোর রাতে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল তা ভারত সরকার ভালভাবেই জানতো। তখন ভারতের সাথে বাংলাদেশের গভীর বন্ধুত্ব ছিল। এতদ সত্বেও ভারত বংগবন্ধুকে রক্ষা করার চেস্টা করেনি। কারণ ভারত বুঝতে পেরেছিল বংগবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের আদর্শ উদ্দেশ্য কিছুই বাস্তবায়িত হবেনা। ১০ ই জানুয়ারী দেশে ফিরেই বংগবন্ধু বলেছিলেন,আমি দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলীম দেশের নেতা। ভারতের মতে এ কথা বলে বংগবন্ধু সংবিধান লংঘন করেছেন। ধর্ম নিরপেক্ষতা বাংলাদেশ সংবিধানের অন্যতম আদর্শ। সেখানে বংগবন্ধু কিভাবে বলেন,এটা দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলীম দেশ। এটা সংবিধান মোতাবেক তিনি বলতে পারেন না। তার উপরে ভারতের আপত্তি উপেক্ষা করে তিনি লাহোর গিয়েছিলেন। তিনিই ইসলামিক একাডেমীকে অধিক ক্ষমতাবান ফাউন্ডেশনে উন্নীত করে ইসলামিক পন্ডিত আবুল হাসেম সাহেবকে পরিচালক নিযুক্ত করেছিলেন।
আওয়ামী লীগ বার বার ক্ষমতায় এসেও বংগবন্ধুর হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করেননি। যর ক’জনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে তাঁরাও হত্যার পেছনে কারা ছিল তা প্রকাশ করে যাননি। খোন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় আসয় অনেকে মনে করেন কাজটি আমেরিকা করিয়েছে। আবার অনেকেই মনে করেন ভারত করিয়েছে। আমেরিকার সম্মতি ছিল। বংগবন্ধু হত্যার বেনিফিট আওয়ামী লীগ ষোলয়ানা ব্যবহার করছে। এবং তাঁকে রাজনীতিতে ব্যবহার করার জন্যে তাঁর উপর নানা রকম মিথ্যা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে এবং তাঁর নামে বহু মিথ্যার প্রচার করছে বর্তমান আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ বংগবন্ধুকে একবার মুসলীম নেতা বানাতে চায়,আবার ধর্ম নিরপেক্ষ নেতা বানাতে চায়। বংগবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রকাশ করে শেখ হাসিনা ভুল করেছেন। বইটি পড়লে সবাই বুঝতে পারবেন তিনি কখনই ধর্ম নিরপেক্ষ ছিলেন না। নিজ ধর্মকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতেন এবং পর ধর্ম ও মতকে সম্মান করতেন। রাসুলকে(সা)নিয়ে দাউদ হায়দার অশালীন মন্তব্য করায় বংগবন্ধু তাঁকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। সেই দাউদ এখনও বিদেশেই অবস্থান করছে। বহু ধর্মহীন(সেক্যুলার) ব্যক্তি তাঁর আমলেই বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। সেসব দেশত্যাগী বন্ধুরা বিদেশে সুখে শান্তিতে আছেন। কিন্তু বাংলাদেশকে একটি ধর্মহীন রাস্ট্রে পরিণত করার জন্যে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এরা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মিডিয়ায় লেখালেখি করছে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার মানে ধর্মহীনতার পক্ষে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বংগবন্ধুর দলীয় রাজনৈতিক মত ও পথকে সম্মান করতাম না। কিন্তু একজন বড় মাপের নেতা ও মুরুব্বী হিসাবে তাঁকে সম্মান করতাম এবং এখনও করি। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পক্ষে আমিই প্রথম কলম ধরি। তখন আমার প্রিয় বন্ধু শফিকুল আজিজ মুকুল বলেছিলেন,এরশাদ ভাই আপনি চিরদিন উল্টা পথে চললেন। এখন এ লেখার জন্যে আপনার বিপদ হতে পারে। বলেছিলাম,হোক বিপদ। এইতো সেদিনোতো সবাই বাপ বাপ করে জান কোরবান করছিলো,তাঁরা আজ কোথায়? বংগবীর কাদের সিদ্দিকী ছাড়া সে সময় আর কেউ বংগবন্ধুর জন্যে জীবন দিতে রাজী হয়নি। আমার বন্ধু মুকুল ল্যাবএইডে মারা গেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। কিন্তু সেখানে তাঁকে দেখতে দলের উচ্চ পর্যায়ের কেউ আসেননি। বংগবন্ধুর সহযোগী ও কেন্দ্রীয় নেতা শেখ আবদুল আজিজ সাহেব দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছেন,তাঁর খোঁজ খবর নেয়ার মতো আওয়ামী লীগে কেউ নেই। দলের নেতা শেখ হাসিনা মনে করেন,বাপের বন্ধুদের খোঁজ খবর নিতে গেলে সারাদিন তাঁদের পেছনেই সময় দিতে হবে। তাছাড়া তাঁরাতো এখন কোন কাজে লাগবেননা। তাই তিনি ,সুরঞ্জিত বাবুর ভাষায় কচি কাঁচার আসর সাজিয়েছেন। আমি বলবো,শেখ হাসিনা প্রমান করতে চান বাপের বন্ধুদের সাথে রাখলে তিনি নিজের মন মতো করে দল চালাতে পারবেন না। তাই তিনি কচি কাঁচাদের নিয়ে দল ও মন্ত্রী সভা সাজিয়েছেন। একদিনের অভিজ্ঞতা নাই এমন ব্যক্তিকে সরাসরি স্পীকার করেছেন। কেবিনেটের সকল সদস্যই অভিজ্ঞতাহীন। কিন্তু তাঁদের মন্ত্রী করতে হয়েছে অদৃশ্য শক্তির ঈশারায়। তাঁরাই এখন হাসিনার শক্তি। বাজারে জোর গুজব, যদিও আমার কেন যেন বিশ্বাস হয়না, বাংলাদেশে নাকি এখন ভারতীয় গোয়েন্দাদের অফিস আছে। প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তার জন্যে বিদেশী নিরাপত্তা বাহিনী আছে।
লোকে বলে বংগবন্ধুর কন্যা নাকি বলেছিলেন,যে দেশের এবং দলের মানুষ আমার পিতার মৃত্যুতে এক ফোঁটা চোখের পানি ফেলেনি তাদের ধ্বংস দেখতে চাই। এসব আসলে গুজব। জনগণের কাছে সঠিক তথ্য না থাকলে তখন গুজব কলেরার মতো ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমান সরকারের আমলে গুজব খুবই শক্তিশালী। সরকার যতই সাফাই গাইছে জনগণ তা বিশ্বাস করছেনা। শাপলা চত্বরের ঘটনায় সরকারের বক্তব্য কেউই বিশ্বাস করেনি। এক কান দুই কান করে সারা বিশ্বে গুজবটি ছড়িয়ে পড়েছে। জগত বিখ্যাত সাময়িকী ইকনমিষ্ট বলেছে , বাংলাদেশের মিডিয়া সরকার অনুগত হতে বাধ্য হয়ে পড়েছে। মৌলবাদ দমনের নামে সরকার আমেরিকা ভারত ও ইউরোপীয় দেশ গুলোর বাহবা পেয়েছে। মৌলবাদ বা সন্ত্রাস দমনের জন্যে সরকার ভারত ও আমেরিকার অংশীদারিত্ব গ্রহন করেছে। কিন্তু তাতেও সরকারের চলছেনা। ওআইসি সদস্য দেশগুলোর দূতদের ডেকে বলতে হচ্ছে বাংলাদেশ ইসলাম বিরোধী নয়। কেন হঠাত্ মুসলমান দেশগুলোকে বুঝাতে হচ্ছে। কারণ, মুসলমান দেশ গুলো সরকারের ইসলাম বিরোধী ভুমিকায় সন্তুষ্ট নয়। যে ওআইসির সাথে বংগবন্ধু সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন সেই প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা বর্তমান আওয়ামী সরকারকে বিশ্বাস করতে পারছেনা। আর ভারতের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে ইসলাম ও মুসলীম দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা। সে ল্ক্ষ্য বাস্তবায়নের পথে ভারত শক্তিশালী ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আপনারা একবার সিকিমের কথা ভাবুন। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাস্ট্র কিভাবে সংসদে আইন পাশ করে ভারতে যোগ দিয়েছে। এতো বেশীদিন আগের কথা নয়। কাশ্মীরে গণভোট হওয়ার কথা ৬০ বছর আগে। কিন্তু হয়নি। জাতিসংঘ বা বিশ্বের নেতারা আর কাশ্মীর নিয়ে ভাবেনা। স্বাধীনতার জন্যে কাশ্মীরীরা প্রতিদিন জীবন দিচ্ছে।
ভারতের পরামর্শ হলো রাস্ট্র রক্ষার জন্যে সরকারের দমননীতি সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত। কারণ,রাস্ট্র জনগণের চেয়ে বড়। তাই বর্তমান সরকার দমননীতির আশ্রয় নিয়ে হেফাজতকে রাতের অন্ধকারে ধুয়ে মুছে ফেলে দিয়েছে। বিএনপি জামাতের শত শত নেতা কর্মীকে জেলে পাঠিয়েছে। জামাতের শত শত কর্মী নিহত হয়েছে। সভা সমাবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। এখন তথ্যমন্ত্রী ইনু বলেছেন,মিডিয়া সীমিত স্বাধীনতা ভোগ করবে। স্বরাস্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকু বলেছেন, সন্ত্রাসী দলের জন্যে সভা সমিতি আজীবনের জন্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর মানে, এ সরকার আজীবন ক্ষমতায় থাকবে। আর আজীবন মানে জীবন থাকা পর্যন্ত। মানে একদিন, এক বছর ইত্যাদি। হাসিনা মনে করেন তাঁর দীর্ঘ মেয়াদে থাকাটা জরুরী। কারণ, নির্বাসনে দিল্লী থাকার সময় যে সব ওয়াদা তিনি করেছিলেন তার কোনটাই বাস্তবায়ন করে ঋণ শোধ করতে পারেননি। দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি ,তা হলো দিল্লী কখনই নিজের স্বার্থের বাইরে কিছুই করেনা। ছলে বলে কৌশলে যে কোন উপায়ে স্বার্থ আদায় বা উদ্ধার করা দিল্লীর নীতি ও আদর্শ। ভারত বিভক্তির পর থেকেই দিল্লী পাকিস্তানকে ভেংগে ফেলার নীতি গ্রহন করেছে এবং ১৯৭১ সালে সে নীতি বাস্তবায়ন করেছে। ফলে আমরা বাংগালী মুসলমানেরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম বলে প্রাচারিত বাংলাদেশ পেয়েছে। ভারতের লক্ষ্য অর্জিত হলো আর আমরাও খুশী। তাই আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। কিন্তু বাংলাদেশের কাছে ভারতের প্রত্যাশা কি?
বিগত ৪২ বছরে ভারত বাংলাদেশের কাছে থেকে কি কি পেয়েছে? মুজিব নগর সরকার ভারত কি দেবে বলে ওয়াদা করেছিল সাধারন নাগরিক হিসাবে তার কিছুই জানিনা। ৪২ বছর ধরে দুটি দেশের সম্পর্ক , লেনদেন ও চাওয়া পাওয়া দেখলে বুঝা যায় ভারত কি চায়। ভারত আমাদের মানে বাংলাদেশের মানুষের খুবই কাছের বন্ধু। ঘনিষ্ট বন্ধু হিসাবে মান অভিমান করে অনেক কিছুই চাইতে পারে। ভারতের চাহিদা মিটাবার মতো সুযোগ সুবিধা ও শক্তি বাংলাদেশের আছে কিনা তা দেখার বিষয়। বাংলাদেশের জনগণ ভারতের বন্ধুত্বকে কিভাবে দেখে সেটাও একটা বিষয়। প্রতিবেশী ভারত একটি শক্তিশালী দেশ এ ব্যাপারে কারো কোন সন্দেহ নেই। চীনের মতো দেশকে মোকাবিলা করার মতো ক্ষমতা, বুদ্ধি ও শক্তি ভারতের আছে। ভারত ইতোমধ্যেই আঞ্চলিক শক্তি হিসাবে আমেরিকার স্বীকৃতি পেয়েছে। আমেরিকার লক্ষ্য হলো ভারতকে চীনের মোকাবিলায় প্রতিষ্ঠিত করা। এই ভারত এক সময় অন্ধভাবে রাশিয়ার বন্ধু ছিল। বিশ্বব্যাপী রাশিয়ার নীতিকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। এখন রাশিয়ার আর সেদিন নেই। তাই ভারত ও তার নীতির পরিবর্তন করেছে। ছিনকে মোকাবিলা করবে বলে আমেরিকার সাথে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ তা পারেনি। কারণ,বাংলাদেশের শক্তিশালী কোন পররাষ্ট্র নীতি নেই। এ বাপারে বিএনপি বা আওয়ামী লীগের ভিতর তেমন ফারাক নেই। আওয়ামী লীগের ভারত নীতি পারিবারিক আত্মীয়তার মতো। এর বিপরীতে বিএনপিও তেমন কোন শক্তিশালী অবস্থান নিতে পারেনি। বিএনপর উচিত ছিল চীন পাকিস্তান মায়ানমারের সাথে শক্তিশালী বন্ধুত্ব গড়ে তোলা। কিন্তু বিএনপি তা পারেনি। ফলে ১/১১র সরকার বিদায় সময় আমেরিকা ও ভারতের অনুমতি নিয়েই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়ে গেছে। ভারত চায় আওয়ামী লীগ দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকুক। ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগ পশ্চিমা জগতকে বুঝাতে পেরেছে বিএনপি ইসলামপন্থী একটি রাজনৈতিক দল। মৌলবাদী ও ধর্মীয় উগ্রপন্থিদের সাথে এর গভীর সম্পর্ক আছে। জামাতের সাথে জোট বাধার ফলে পশ্চিমারা মনে করে সেক্যুলার একটি রাজনৈতিক দল। ধর্মের ব্যাপারে ,বিশেষ করে ইসলামের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের ধর্ম বিরোধী অবস্থানকে ভারত ও পশ্চিমারা সমর্থন করে। হেফাজতের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কঠোর দমন নীতিকে আমেরিকা ও ভারত যৌথভাবে সমর্থন দিয়েছে। হেফাজতকে দমন করে আওয়ামী লীগ অনেক বেশী আস্থাবান হয়ে উঠেছে। জেল জুলুম,মামলা হামলার কারণে জামাত ও বিএনপি অনেক খানি বেসামাল আগষ্ট নাগাদ দমননীতি অব্যাহত রাখার জন্যে ভারতীয় গোয়েন্দারা শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিয়ে চলেছে। তারা বার কাশ্মীর ও ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য গুলোর রেফারেন্স ব্যবহার করছে। ৬০ বছর ধরেই এই রাজ্যগুলোকে দমন করে রেখেছে। প্রতি বছর হাজার হাজার লোক মারা যাচ্ছে।
রাস্ট্র রক্ষা, মৌলবাদ ওা সন্ত্রাস দমনের নামে আওয়ামী সরকার বিরোধী দলের উপরে কঠোর দমন নীতি চালাবে। ভারত মনে করে আওয়ামী লীগ যদি আগষ্ট পর্যন্ত দমন নীতি চালিয়ে যেতে পারে তাহলে বিরোধী দল নির্বাচনের জন্যে ঘর গুছিয়ে উঠতে পারবেনা। আওয়ামী লীগের সমর্থক শিক্ষিত জনেরা মনে করেন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের মতো বিরোধী দল গড়ে উঠবেনা। এবার আওয়ামী লীগ প্রমান করেছে দলটি ক্ষমতায় বা ক্ষমতার বাইরে সমান ভাবে পারদর্শী। যেমন কেয়ার টেকার সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্যে আওয়ামী যে কঠোর আন্দোলন করেছিল বিএনপি সে রকম আন্দোলন করতে পারছেনা। অপরদিকে আমেরিকা ও ভারত বিরোধী দলের চলমান সমর্থন করছেনা। তারা হরতালকেও সমর্থন করেনা। এ কারণে সরকার বিরোধী দলকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে সভা সমাবেশ করতে দিচ্ছেনা। বিশ্লেষকরা বলছেন ,খালেদা জিয়া তাঁর ছেলেদের কারণে কঠোর আন্দোলনে যেতে পারছেন না। তাঁরা মনে করেন বিএনপিকে সংসদেও কঠোর দায়িত্ব পালন করতে হবে। যতটুকু সুযোগ পাওয়া যাবে তা ব্যবহার করতে হবে। সমাজের সকল স্তরে যে পরিমান ভয় ভীতি সৃষ্টি করার প্রয়োজন ছিল সরকার ইতোমধ্যেই তা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। দিগন্ত ও ইসললামিক টিভি, দৈনিক আমার দেশ সহ আরও অনেক প্রিন্ট অনলাইন পত্রিকার অবস্থা দেখে চলমান পত্রিকা গুলো অনুগত হয় পড়েছে। এটাও সরকারের একটা বিরাট সাফল্য।
আওয়ামী লীগ যেহেতু খুব সাফল্যের সাথে ভারতের নীতি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে সেহেতু ভারত মনে করে শেখ হাসিনার আরও একবার ক্ষমতায় আা দরকার। আমেরিকও হয়ত সে রকমই মনে করে। বাংলাদেশের প্রশ্নে ভারতের প্রথম ও প্রধানতম নীতি হলো ধর্মের গুরুত্ব দিন দিন কমিয়ে আনতে হবে। কালক্রমে দেশে যেন ইসলাম যেন কোন ধরনের প্রভাব বিস্তার না করতে পারে। আর এই নীতি একমাত্র আওয়ামী লীগই বাস্তবায়ন করতে পারবে। অপরদিকে ভারত শেখ হাসিনাকেও অব্যাহত ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে। কথা না শুনলে বংগবন্ধুর অবস্থা হবে।
লেখন: কবি ও ঐতিহ্য গবেষক
http://www.humannewspaper.wordpress.com