সাদা কালো / এরশাদ মজুমদার
সাদা কালো এই নামে একটি কলাম লিখেছিলাম আমি ১৯৭৩ সালে দৈনিক জনপদে। গাফফার ভাই ছিলে কাগজের সম্পাদক।আমি ছিলাম চীফ রিপোর্টার। কাগজের আসল মালিক ছিলেন তখনকার শিল্পমন্ত্রী কামারুজ্জামান সাহেব। রাজশাহীর বর্তমান মেয়রের বাবা।কিন্তু ডিক্লারেশন ছিল এক কালের ডাকসাইটে কাস্টমস কালেক্টর হাবিব উদ্দিন সাহেব।হাবিব সাহেব কাগজের প্রকাশক ও ম্যানেজিং ছিলেন।প্রখ্যাত সাংবাদিক ওয়াহাব সাহেবের ছেলে আজিজুল ওয়াহাব ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর। ৭৩ সালের ১লা জানুয়ারী কাগজের প্রকাশনা শুরু হয়েছিল।
সাদা কালো কলামের মূল বিষয় ছিলো অর্থনীতি। সব অর্থনীতিতে সাদা কালো চিরকালই ছিল। এখনও আছে। শুধু বাংলাদেশ নয় আশে পাশের সব দেশে আছে। ভারত পাকিস্তানে অনেক বেশী। সাদা কালো সব টাকাই বাজারে চলে। চোর দরবেশ,শিক্ষক সাংবাদিক সবার টাকাই ব্যান্ক জমা রাখে। কিছুদিন আগেও ভারতে
সেক্স ওয়ার্কারদের(বেশ্যা) ব্যান্ক একাউন্ট খোলা ও বীমা করার দাবী সরকার মেনে নিয়েছে। বাংলাদেশেও নিশ্চয়ই বেশ্যাদের ব্যান্ক একাউন্ট আছে। তবে পরিচয় দিয়ে নয়। ইদানিং বেশ্যারা বাংলাদেশ নিজেদের নানা ধরনের অধিকারের জন্য প্রকাশ্যে আন্দোলন করছে। তাদের ছবি খবরের কাগজে ছাপানো হয় এবং টিভিতে দেখানো হয়। বেশ কিছু নামীদামী এনজিও তাদের সহযোগিতা করছে। এসব এনজিওর আরো নানা ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য আছে। তারা বিদেশ থেকে নানা ধরনের পুরস্কার পায়। ৭৩ সালে কালো টাকার খোঁজে আমি বাংলাদেশ ব্যান্ক ও বিআইডিএসে গিয়েছিলাম। এই বিষয়ে তখনও এসব প্রতিস্ঠানে তেমন কোন তথ্য ছিলনা। আজও তেমন কোন তথ্য নেই। যারা দিনরাত গোলটেবিল ও টকশোর বন্দোবস্ত করেন তারাও এসব কোন কাজ করেন নি। কেন করেন নি বা করছেন না তার কো সদুত্তর নেই। এইতো কদিন আগেই সাবেক যৌথবাহিনী সরকারের অর্থ উপদেস্টা মির্জা সাহেব বললেন, কালো বা সাদা সব টাকাই অর্থনীতিতে সচল রয়েছে। কোন টাকাই বসে নেই।অর্থনীতি কোন মসজিদ মন্দির বা গীর্জা নয়। বরং কালো টাকা দিয়ে স্কুল কলেজ মসজিদ মক্তব মাদ্রাসা মন্দির গীর্জা সবই করা যায়। এমন কি কালো দিয়ে পত্রিকা প্রকাশ করা যায়। টিভি ও রেডিও স্টেশন চালু করা যায়। একটি টিভির পারমিশন নিতে পারলে যেকোন লোক রাতারাতি কয়েক কোটি টাকার মালিক হতে পারে। ৮৩ সালে একটি ব্যান্ক স্থাপন করতে মাত্র তিনকোটি টাকা পেইডআপ ক্যাপিটাল লাগতো। তখন তিনকোটি টাকা সাদা পাওয়া কঠিন ছিল। শুধু পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে অনেকেই ডিরেক্টর হয়েছেন। পাঁচ লাখ টাকার শেয়ার পাঁচকোটি টাকা বিক্রি হয়েছে। এখন একটি ব্যান্ক স্থাপন করতে ২০০ কোটি টাকার পেইডআপ ক্যাপিটেল লাগবে। একজন লোকই এখন ২০০ কোটি টাকা দিতে পারে। বিতর্কিত রাস্ট্রপতি এরশাদ সাহেব যখন ব্যান্কের পারমিশন দিচ্ছিলেন তখন ট্যাক্সপেইড টাকার কথা উঠেছিল। বলা হয়েছিল ট্যাক্সের বললে ব্যান্ক হবেনা। আগে ব্যান্ক হোক পরে ট্যাক্স আদায় করা যাবে। তখন বাংলাদেশ ব্যান্কের গভর্ণর ছিলেন নুরুল ইসলাম সাহেব আর এনবিআর চেয়ারম্যান ছিলেন এস বি চৌধুরী। কালো আর সাদা টাকা মিলিয়েই তিন কোটি টাকা কোনমতে জোগাড় করে উদ্যোক্তার ব্যান্ক স্থাপন করেছিলেন। ৮৩ সালের উদ্যোক্তাদের বলা হয় ফার্স্ট জেনারেশন ব্যান্ক উদ্যোক্তা। এসব উদ্যোক্তদের বেশীর ভাগই ছিলেন ইন্ডেন্টর, ইম্পোর্টার। পাকিস্তান আমলে বাংগালীদের মাত্র দুটি ব্যান্ক ছিল। একটি ইস্টার্ণ মার্কেন্টাইল ব্যান্ক (পূবালী ব্যান্ক) ও অপরটি ইস্টার্ণ ব্যান্কিং কর্পোরেশন (উত্তরা ব্যান্ক)। প্রথমটির মালিক ছিলেন একে খান সাহেবরা ও দ্বিতীয়টির মালিক ছিলেন জহিরুল ইসলাম সাহেবেরা। এ দুটি ব্যান্কের উদ্যোক্তারা ছিলেন বাংগালী পূঁজির মালিক। পূর্ব পাকিস্তানের পূঁজির বিকাশের জন্যে যাঁরা কাজ করেছেন তাদের অনেকেই এখনও জীবিত আছেন। ঢালাও ভাবে ইম্পোর্ট, ইন্ডেন্টিং ও সিএন্ডএফ এর লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল শুধুমাত্র পূঁজির বিকাশের জন্যে। ৬০-৬১ সালের দিকে মাত্র ২৫ লাখ টাকা দিয়ে বাংগালীরা ২৫০ লুমের জুট মিলের মালিক হয়েছিল। ২৫ লাখ টাকা জোগাড় করতেই তাদের জান বেরিয়ে গেছে। বাজেট ঘোষণার পর কালো টাকা নিয়ে সুশীল সমাজ, অর্থনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নানা কথা বলছেন। সবাই নৈতিকতার আন্দোলনে নেমে গেছেন। এই বুদ্ধিজীবীরাই এক সময় বাংগালীদের পূঁজির বিকাশের দাবীতে কত কথাই না বলেছেন। এখন তাঁরা অব্যবহৃত ও অপ্রদর্শিত পুঁজিকে নানাভাবে গালাগাল দিচ্ছেন। যে দেশে এখনও একজন উদ্যোক্তা নিজের তহবিল থেকে এক হাজার কোটি টাকা দিয়ে একটা পাওয়ার প্লান্ট বসাতে পারেনা। এদেশে এখনও পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি গ্রুপ পাওয়া যায়না। ভারতে বা পাকিস্তানে বহু উদ্যোক্তা আছে যারা ১০ হাজার মেঘাওয়াট বিদ্যুত উত্পাদনের প্লান্ট বসাতে পারে। সোজা কথায় বলা যেতে পারে এখানে এখনও বড় পুঁজির বিকাশ ঘটেনি। বড় কাজের জন্যে বিদেশ থেকে বড় পুঁজির মালিকদের হাতে পায়ে ধরে আনতে হয়।
হাঁ, একথা মহাসত্যি যে, কেউ যদি দশ টাকা দিয়ে একশ টাকা বৈধ করতে পারে তাহলে অন্যরা ২৫ টাকা দিয়ে একশ টাকা বৈধ করবে কেন। এ ব্যাপারে আমিও একমত। কালো টাকা( অপ্রদর্শিত, ট্যাক্সের আওতা বহির্ভুত) জন্মাবার পথ বন্ধ করার দায়িত্ব সরকারের। সরকারগুলো তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে প্রতি নিয়তই কালো টাকার জন্ম হচ্ছে। সঠিক পথে আয় করা টাকাও সরকারের রাজস্ব না দিলে কালো হয়ে যায়। একজন ডাক্তার যদি তাঁর পুরো আয়ের টাকা আয়কর হিসাবে না দেখান তা অপ্রদর্শিত হয়ে যাবে। জমি বিক্রি করা টাকা আয়কর হিসাবে না দেখালে অপ্রদর্শিত হয়ে যাবে। একজন সাংবাদিক তাঁর বেতন বহির্ভুত আয় যা কলাম লিখে, টকশোতে অংশ গ্রহণ করে, কোথাও ক্লাশ নিয়ে পাওয়া যায় তা যদি আয়কর হিসাবে না দেখান তাহলে অপ্রদর্শিত হয়ে যাবে। ডেশর লাখ লাখ মানুষ সঠিক পথে আয় করেও আয়কর হিসাবে না দেখানোর ফলে তা অপ্রদর্শি হয়ে গেছে। এসব টাকা আয়কর আওতায় আনতে হলে ব্যাক্তি আয়ের করের সীমা ৫/৬ পারসেন্টে নামিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশে আয়করের চাপ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশী। ব্যক্তি আয়কর দাতা বাড়াতে হলে আয়করকে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে। আমার এক ব্যবসায়ী বন্ধু বললেন, দেশে অপ্রদর্শিত, আনট্যাক্সড ও অবৈধ কয়েক হাজার কোটি টাকা আছে। যা আয়করের বাইরে থাকে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দিন দিন ফুলে ফেঁপে মোটা হচ্ছে।
যেমন ঘুষের টাকা। এটাকা একেবারেই বেআইনী ও অবৈধ। কিন্তু প্রতিদিন কয়েকশ’কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হচ্ছে। সরকারের উপর তলা থেকে নিচু তলার চৌকিদার পর্যন্ত ঘুষ খায়। এটাকে খায় বলা হয়, কারণ এটা আয় নয়। সবচেয়ে বেশী ঘুষ খাচ্ছে পুলিশ, এনবিআর স্টাফ, শিক্ষা বিভাগের স্টাফ। এসব টাকা কোথায় যাবে।
ব্যবসায়ীরা টাকার পাহাড় তৈরী করেন সরকারী কর না দিয়ে। কর ফাঁকি দেওয়ার জন্যে তারা আমদানী রফতানীতে ভুল ডিক্লারেশন দেন। তারা নিয়মিত আন্ডার ইনভয়েসিং ও ওভার ইনভয়েসিং করেন। বিদেশীরা বড় বড় কাজ পাওয়ার জন্যে সরকারের মন্ত্রী সচিব এমপিদের ঘুষ দিয়ে থাকে। এসব ক্ষেত্রে লেনদেন হয় হাজার হাজার কোট টাকা।
সীমান্তের অবৈধ ব্যবসায়( স্মাগলিং বা ইনফরমাল ট্রেড)প্রতি বছর কয়েক হাজার কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। এই অবৈধ ব্যবসার বড় বেনিফিসিয়ারী ভারত। বাংলাদেশে যেকোন মালের ঘাটতি পড়লেই তা সংগে সংগে ভারত থেকে চলে আসে। এর জন্যে কোন ফরমালিটি নাই। একটা ফোনই যথেস্ট। বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপি হচ্ছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের মতো। এর ভিতর ২০ পারসেন্ট বা ২০ বিলিয়ন ডলার( ১ লাখ ৪০ হাজার কোট টাকা) অবৈধ থাকা অস্বাভাবিক নয়। বর্ণিত সংখ্যাগুলো ইন্ডিকেটিভ বা গেস্টিমেটেড।কি পরিমাণ অর্থ কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে আছে তা বুঝাবার জন্যে সংখ্যাগুলো উল্লেখ করলাম। এই অবৈধ বা অপ্রদর্শিত টাকা অর্থনীতিকে সব সময় অস্থির করে রাখবে। এর আগে বলেছি পূর্ব পাকিস্তানে পূঁজির গঠণ বা বিকাশের জন্যে সাংবাদিক বুদ্ধিজীবি ও রাজনীতিকরা অনেক অনৈতিক প্রস্তাব তখন রেখেছিলেন। ৬দফা ছিল সেই সব প্রস্তাবের রাজনৈতিক রূপ।
সাংবাদিক আনিসুল হক তাঁর কাগজে লিখেছেন ফ্ল্যাট বা বাড়ি কেনার জন্যে অপ্রদর্শিত আয় ব্যবহারের সুযোগ প্রত্যাহারের জন্যে। তিনি এটাকে অনৈতিক বলেছেন। কারণ এটা নাকি অনুত্পাদনশীল। তাঁর এ তথ্যটা একশ ভাগ ভুল। দেশের নির্মাণ বা হাউজিং শিল্প জিডিপিতে ২০ ভাগ অবদান রাখে। এই খাতের সাথে ২০ লাখ শ্রমি জড়িত রয়েছে।হাজার ইন্জিনিয়ার এই শিল্পে কাজ করেন। দেশে নির্মাণ শিল্পে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করে অনেক নির্মাণ শ্রমি বিদেশে যান।এই খাতের সাথে সিমেন্ট, রড, গ্লাস, উড, টাইলস, ইট বালু আরও নানা ধরনের লিংকেজ ইন্ডাস্টিজ রয়েছে।এসব ইন্ডাস্ট্রিতেও কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে।
আনিসুল হক সাহেব বলেছেন, ফ্ল্যাটের দাম মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। কথাটা সত্যি। একথাও সত্যি যে গত ১৫ বছরে রাজধানী ঢাকাতে ডেভেলপাররা ৭০ হাজার নির্মাণ করেছে। এর বেশীর ভাগই কিনেছেন মধ্যবিত্তরা। আশ্রয় বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার। এই অধিকার বাস্তবায়নে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে। রাজধানীতে জমির দাম এখন সবচেয়ে বেশী। ধানমন্ডি, বনানী,গুলশান, বারিধারা, উত্তরা ছাড়া অন্য যেকোন এলাকায় এক কাঠা জমির দাম ২০ লাখ টকা থেকে ৫০ লাখ টাকা। রাজুক এখনও বিক্রি করে এক থেকে সাত লাখ টাকায়। গুলশানে এক কাঠা জমির বাজার দাম এক কোটি থেকে দুই কোটি টাকা। রাজুক বিক্রি করছে মাত্র সাত লাখ টাকায়। আমিতো মনে করি রাজুকের জমি বিক্রি করা অনৈতিক। রাজধানীতে তাই জমি বরাদ্দ বন্ধ করা দরকার। পাঁচ কাঠা জমিতে ছোট সাইজের ১৫টা ফ্ল্যাট হতে পারে। ১৫ পরিবারের আশ্রয়ের ব্যবস্থা হতে পারে।অপ্রদর্শিত বা অবৈধ টাকা দিয়ে ভাত কাপড়ের ব্যবস্থা নিয়মিত হচ্ছে। আনিস সাহেব কিছুই বলছেন না। শুধু আশ্রয়ের ক্ষেত্রে তাঁর আপত্তি।
মধ্যবিত্তরা দুই কোটি টাকা দিয়ে বাড়ি কখনই কিনেন না। এই কথাটি সঠিক নয়। বরং তাঁর বলা দরকার ছিল, ছোট ফ্ল্যাটের জন্য, ছোট গাড়ির জন্যে সকল প্রকার ট্যাক্স মওকুফ করা হোক। বড় ফ্ল্যাট ও দামী গাড়ীর ট্যাক্স কয়েকশ’ গুণ করা দরকার। আমি মনে করি বাংলাদেশে দামী গাড়ি আমদানী বন্ধ করে দেওয়া হোক।
তা না করে মূহিত সাহেব টুথব্রাশ,টুথপোস্ট বিস্কুটের উপর ট্যাক্স বসিয়ে দিয়েছে। আমিতো মনে করি ১৫ কোটি লোকেই দাঁত ব্রাশ করা দরকার। একটা ব্রাশের দাম পাঁচ টাকা হওয়া দরকার।
অনেকে বলছেন, যৌথ বাহিনীর সরকারের আমলে যে পরিমান কালো টাকার জন্ম হয়েছে তাকে বৈধতা দেয়ার জন্যই বর্তমান নির্বাচিত সরকার কালো টাকা সাদা করার এই প্রস্তাব রেখেছে। আমার কথা হলো সরকারের দায়িত্ব কালো টাকাকে লাগাতার মনিটরিং করা। কালো টাকার বিষয় স্টাডি করার জন্যে বাংলাদেশ ব্যান্কে একটি বিশেষ সেল চালু করা।
যদি ২০ বিলিয়ন ডলার বা এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা কালো টাকা আমাদের অর্থনীতিতে থাকে তাহলে তা অবিলম্বেই উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগের জন্য নিয়ে আসতে হবে। প্রধান মন্ত্রী এ ই ব্যাপারে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাকে আমি স্বাগত জানাই। নিজের দেশ যদি এত টাকা পাওয়া যায় তাহলে বিদ্যুত, মাওয়া ব্রীজ, ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লাইন মহাসড়ক সহ আরও বড় বড় প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্যে বিদেশ থেকে টাকা ধার করতে হবেনা। তবে সরকারকে অবশ্যই ঘোষণা দিতে হবে নির্ধারিত খাতে বিনিয়োগ করলে কোন প্রশ্ন করা হবেনা। কালো টাকা সাদা করার ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেব বলেছেন, যাদের টাকা সাদা হয়ে গেছে তারাই এখন এর বিরোধিতা করছেন।
Published in Jugantar on june 30,2009