আজ আলোর পুত্র সক্রেটিসকে নিয়ে লেখাটা শুরু করতে চাই। আমি সক্রেটিসের একজন পরম ভক্ত। শুধু ভাবি রাস্ট্র কেন এই হত দরিদ্র নিরী্ মানুষটাকে হত্যা করলো। রাস্ট্রের কি এমন ক্ষতি করেছে এই নিরী্ মানুষটা। কেন রাস্ট্র সক্রেটিসকে সহ্য করলোনা।আল্লাহর নবী যিশুর জন্মের চারশ’ বছর আগে এথেন্স পরাজিত হয় স্পার্টার কাছে। এথেন্স ছিল গনতান্ত্রিক নগর রাস্ট্র। পরাজয়ের পর সেখানে প্রতিস্ঠিত হয় তিরিশ সদস্যের এক স্বৈরতন্ত্র। এগার জনের এক গুপ্ত পুলিশ বাহিনী। এই পুলিশ বাহিনীর প্রধান ছিল সাতুরোস। সে ছিল কঠোর প্রকৃতির নিষ্ঠুর লোক। যেকোন সময় যেকোন নাগরিককে ধরে নিয়ে গোপনে হত্যা করতো। যারা জীবিত থাকতো তাদের উপর চলতো নির্যাতন। সময়টা ছিল ৪০৪ খৃস্টপূর্বের সেপ্টেম্বর থেকে ৪০৩ সালের মে পর্যন্ত মোট আট মাস। ক্ষমতাকে স্থায়ী করার জন্যে ওই স্বৈরতন্ত্র মাত্র ২/৩ হাজার মানুষকে ভয় আর লোভ দেখিয়ে নিজেদের দলে টানতে পেরেছিল। স্বৈরাচারীরা নগরের বুদ্ধিজীবীদের সমর্থন আদায়ের চেস্টা করতে গিয়ে প্রথমেই তাদের মোকাবিলা করতে হয়েছে সত্যের বাণী বাহক মানব জাতির অহংকার সক্রেটিসকে। তারা সক্রেটিসকে দলে টানতে ব্যর্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে প্রথমে রাস্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ ও পরে ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগ আনে।তখন সক্রটিসের বয়স ৭০। শেষ পর্যন্ত ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগে তার মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। জনাকীর্ণ আদালতে সরকার সমর্থকরা বার বার শ্লোগান দিয়ে সক্রেটিসের প্রাণদন্ডর দাবী করছিলো। বাদী ছিল একজন বাগ্মী ও স্বৈরতন্ত্রের কঠোর সমর্থক। নাম তার মেলেতুস। আদালতের বিচারকের সংখ্যা ছিল ৫০১ জন। এদের অনেকেরই আইন বিষয়ক কোন জ্ঞান ছিলনা। তাদের একমাত্র সার্টিফিকেট ছিল তারা সরকার সমর্থক। আড়াই হাজার বছর পরেও সক্রেটিস আজ আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন। কারন তিনি সত্যের জন্যে প্রাণ দিয়েছেন। বিচারকরা তাঁকে লঘুদন্ড দিতে রাজী ছিলেন যদি তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সক্রেটিস তাতে রাজী হননি। তিনি বলেছিলেন, আমি যদি বেঁচে থাকি তাহলে সত্যের মৃত্যুর হবে। আমার চেয়ে সত্য অনেক বড়। সক্রেটিসই বলেছিলেন, ‘নো দাইসেল্ফ’। তাঁর বাণী ছিল মানুষের অন্তর্ণিহিত সত্যকে অনুধাবন করার আবেদন। কিন্তু মানুষ নিজের কাছেই অজানা রয়ে গেছে।
ঠিক এ সময়ে আমার মনে পড়ছে, ইমামুল মুরসালিন হজরত মোহাম্মদ(সা:) এর কথা। মক্কার নেতারা নবীজীর সাথে দেখা করে প্রস্তাব দিয়েছিল নবীজী যদি সত্য প্রচার করেন তাহলে তারা তাঁকে নেতা মানবে, ধন সম্পদ দান করবে আর মক্কার সবচে সুন্দরী নারীর সাথে নবীজীর বিয়ে দিবেন। নবীজী তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁর এক হাতে চন্দ্র আর অন্য হাতে সূর্য দিলেও তিনি সত্যের সাথে মিথ্যার মিশ্রণ করতে পারেননা। আোনারা শুধু একবার ভাবুন, জগতে মানুষ কি চায়? চায় ক্ষমতা সম্পদ ও সুন্দরী নারী। কিন্তু নবীজী চেয়েছেন জগতে শুধু সত্য প্রতিস্ঠা করতে। সেই সত্য তিনি প্রতিস্ঠা করে গেছেন। তিনি জগতে মানব জাতির মুক্তির সনদ দান করে গেছেন। সত্য প্রতিস্ঠা করার জন্যে নবীজী জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন, শত্রুদের সাথে অনেক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। আল্লাহর নবীও বলেছেন,‘ মান আরাফা নাফছা, ফাকাদ আরাফা রাব্বা’। মানে তুমি যদি নিজেকে জানতে পারো,তাহলেই তোমার প্রভুকে জানতে পারবে।
শুধু মুসলমানের স্বার্থের কথা বলে আমরা মানে আমাদের বাপ দাদারা ৪৭ সালে মুসলমানের দেশ পাকিস্তান প্রতিস্ঠা করেছিলম। মাত্র ২৩ বছর এই পাকিস্তান এই অঞ্চলে টিকে ছিল। কারণ আমরা ভাবতে শুরু করলাম আমরা শুধু মুসলমান নই, বাংগালীও। শুরু হলো দন্ধ। তারপরে ৭১ এ আমরা বহু প্রাণের বিনিময়ে প্রতিস্ঠা করলাম স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই পার হয়ে গেছে ৪০ বছর। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। এখনও ঠিক হয়নি আমরা মুসলমান না বাংগালী। আমরা বাংগালী না বাংলাদেশী। আমাদের সংস্কৃতির বায়া দলিল কি? আমাদের ভাষার উত্পত্তি কোথা থেকে? এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের কোন সুরাহা হয়নি। যদি ধরে নেই যে আমরা বাংগালী। এখন পৃথিবীতে প্রাত ৩০ কোটি বাংগালী আছে। এরমধ্যে ১৫ কোটির কোন স্বাধীন দেশ নেই। এমন কি আমাদের ইতিহাসটাও ঠিক মতো লিখিত হচ্ছেনা। সবাই শুধু বলছে ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে। যে দল ক্ষমতায় আসে সেই দলই নিজেদের মতো করে ইতিহাস লিখতে চায়। এইতো ক’দিন আগেই শুনা গেল স্বাধীনতার দলিলে লেখা আছে ৭১ সালে যুদ্ধহয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। পাকিস্তান আত্মসমর্পন করেছে ভারতের কাছে। ১৬ ডিসেম্বর ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশই বিজয় দিবস পালন করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ঢাক ঢোল বাজিয়ে বিজয় দিবস পাল করে। আর বিএনপি ক্ষমতায় এলে জাঁক জমকের সাথে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পাল করে।
চারিদিকের হাল হকিকত দেখে আমাদের ছাত্র বয়সের কথা মনে হচ্ছে। তখন সোভিয়েত দেশ, পিকিং রিভিও বা মাওয়ের লাল বই হাতে দেখলেই গোয়েন্দারা আমাদের পিছনে লেগে যেতো। ওরা ভাবতো যারা ওসব বই পড়ে তারা কমিউনিস্ট। তখন পাকিস্তানে কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ ছিল। পার্টির নেতাদের বেশীর ভাগই থাকতেন আন্ডার গ্রাউন্ড। পরে মাওলানা ভাসানীর সাথে আইউব খানের একটা সমঝোতা হওয়ার পর বামপন্থী ও কমিউনিস্ট নেতাদের সরকার মুক্তি দেয়। এখন ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের বই দেখলেই গোয়েন্দারা পীছনে লেগে যায়। এমন কি কোরাণ হাদিস ও রাসুল(সা:) সম্পর্কিত বই দেখলেও গোয়েন্দারা তাড়া করছে। আরবী ফারসী ও উর্দুতে ছাপানো সিনেমার বই দেখলেও গোয়েন্দার জেএমবি বলে পাকড়াও করছে। এক সময়ের কমিউনিস্ট নেতা নাহিদ সাহেব ঘোষণা দিয়েছেন জংগীবাদ কি ও কেন তা এখন থেকে স্কুল কলেজে পড়ানো হবে। নাহিদ সাহেবের মুখে এই প্রথম শুনলাম ইসলাম শান্তির ধর্ম। জানিনা সেদিন কবে আসবে সরকার ফরমান জারী করবেন ‘সরকারী ইসলাম’ ছাড়া অন্যকোন ইসলামের চর্চা করা যাবেনা। সউদী আরবে সরকারী ইসলাম ছাড়া অন্য ইসলাম নিষিদ্ধ। সউদী আরবে সরকারী অনুমোদন ছাড়া কোরাণের ভিন্ন কোন তাফসীর প্রকাশ করা যায়না।
২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন পালিত হয়েছে ভারতে এবং পৃথিবীর অন্যখানে যেখানে গান্ধীজীর ভক্ত আছে। ভারতে আবার গান্ধীজীর সমালোচকও আছে। যারা তাকে জনগনের নেতা মনে করেনা। বেশ কিছুদিন আগে টাইম ম্যাগাজিন রাম গডসের একটি সাক্ষাত্কার প্রকাশ করেছে। রাম গডসে হচ্ছে নাথুরাম গডসের বড় ভাই। গান্ধী হত্যার মামলায় যাবজ্জীবন কারাভোগ করে মুক্তি লাভের পর টাইম ম্যাগাজিন তার সাক্ষাত্কার নিয়েছে। তখনও রাম গডসে বলেছে গান্ধী কখনই ভাল মানুষ ছিলেননা। তিনি হিন্দু স্বার্থ বিরোধী কাজ করেছেন বলেই আমরা তাকে হত্যা করেছি। রাম মনে করে গান্ধী একজন ভন্ড ও প্রতারক। একজন নকল সন্যাসী। তাকে হত্যা করে আমি অনুতপ্ত নই। রাম সম্ভবত এখন পুণায় বাস করেন। রামকে প্রশ্ন করা হয়েছিল,এলাকার লোক আপনাকে কি দৃস্টিতে দেখে। রামের উত্তর ছিল তারা আমাকে ঘৃণা করে। মাঝে মাঝে গায়ে থুথু দেয়। এতে আমি কিছু মনে করিনা। ‘হে রাম’ সিনেমা সম্পর্কে গডসের মন্তব্য ছিল, সিনেমাটি একটি বানোয়াট গল্প। এর সাথে ইতিহাসের কোন সম্পর্ক নেই। কারন গান্ধী মারা যাওয়ার সময় হে রাম বলেননি। কারন সে সময় তার কাছে ছিলনা। তাকে দেবতা বানাবার জন্যেই ওই ছবিটি বানানো হয়েছে। মহাত্মা গান্ধীর আজীবনের ভক্ত কে কে বিড়লা তার আত্ম জীবনীতে বলেছেন, ‘বিড়লা’জ ইউজ টু স্পেন্ট মিলিয়নস তো কিপ বাপুজী পুয়র’। মানে বাপুজীকে গরীব রাখার জন্যে বিড়লাদের কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছে। বাপুজী বা মহাত্মা সম্পর্কে ভারতের সাধারন মানুষের কি ধারনা তা আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ৭৩ সালে আমি কিছুদিন রাজস্থানের জয়পুর ইউনিভার্সিটি গেস্ট হাউজে ছিলাম একটা ট্রেনিং কোর্সের কারনে। ওই গেস্ট হাউজের সামনেই ছিল বিরাট এক গান্ধী মুর্তি। আমি একদিন রিকসা করে ওই মুর্তির পাশ দিয়ে জয়পুর বাজারে যাচ্ছিলাম। মনে নেই, সম্ভবত গ্রীস্মকালের পড়ন্ত বেলা ছিল। প্রচন্ড গরম ছিল। আপনারা জানেন, রাজস্থান মরুভুমির দেশ। গরমের কোন শেষ নেই। ঘর্মাক্ত রিকসাওয়ালা ঘাম মুচতে মুচতে খুব বিরক্ত হয়ে বিড় বিড় করে কি যেন বললো মুর্তির দিকে তাকিয়ে। আমি জিগ্যেস করলাম, কেয়া হুয়া ভাই? রিকসাওয়ালা উত্তর দিলো, শালা জিন্দেগী ভর তোম ধুপ মে খাড়া রহেগা। ধোকাবাজ কাঁহেকা। নাংগুটি পহেনকে গরীবোকো ধোকা দেতা। বাংলা মানে হলো- শালা, আজীবন রৌদ্রে দাঁড়িয়ে থাক। ভন্ড প্রতারক। নেংটি পরে গরিবদের ধোকা দিচ্ছ। একবার আমি আহমেদাবাদ গিয়েছিলাম। উঠেছিলাম শবরমতি নদীর তীরে অবস্থিত সী ভিউ হোটেলে। তখন মনে হয় শীতকাল ছিল। নদী একেবারেই শুকনা ছিল। কিন্তু বালির নীচে পানি ছিল। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার কারনে শহরে থমথমে ভাব বিরাজ করছিল। আমি জানলে ওই সময় আহমেদাবাদ যেতামনা। আমাদের বুড়িগংগার মতো শবরমতি নদী আহমেদাবাদ শহরকে দুই ভাগে ভাগ করে রেখেছিল। নদীর উপর আটটি ব্রীজ ছিল। একদিন বিকেলে আমি গান্ধী আশ্রম দেখার জন্যে নদীর অপর পারে গিয়েছিলাম রিকসা করে। রিকসাকে অপেক্ষা করতে বলে আমি আশ্রমের ভিতর ঘুরে ফিরে দেখলাম। ঘন্টাখানেক পর রিকসায় উঠে হোটেলের দিকে রওয়ানা দিলাম। কয়েক গজ সামনে এগোবার পর রিকসাওয়ালা জানতে চাইলো ভিতরে আমি কি কি জিনিষ দেখেছি। আমি বললাম বাপুজীর ব্যবহৃত অনেক জিনিস দেখেছি। সে আবার জানতে চাইলো আমি আর কিছু দেখেছি কিনা। অনেক চিন্তা করে আমি বললাম, না আর কিছু দেখিনি। কেঁউ, আপ বিধ্বা নেহি দেখা? পনরা ষোলা আওর বিশ সাল কি বিধ্বা নেহি দেখা? আমি বললাম, হাঁ হাঁ দেখেছি। সাব ওহাঁ বাবুলোগ যাতা হ্যায় বিধ্বা সে মোলাকাত করনে কি লিয়ে। কিন্তু এসব সাধারন মানুষের কথায় কি আসে যায়। সারা দুনিয়া জানে বাপুজী একজন সন্যাসী।
এতদিন শুনে এসেছি, পাকিস্তানের জাতির পিতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে দ্বিজাতি তত্ব দিয়ে ভারতকে দুভাগ করেছে। জিন্নাহ অবশ্য এক সময় আমাদেরও জাতির পিতা ছিলেন। আমরা এখন জিন্নাহকে দেখতে পারিনা। কিন্তু ইদানিং শুনতে পাচ্ছি জিন্নাহ সাম্প্রদায়িক ছিলেন না। তিনি ভারত বিভক্তি চাননি। ভারতকে দুভাগ করেছেন মহাত্মা গান্ধী, নেহেরু ও সরদার প্যাটেল। এসব কথা লিখছেন ভারতীয় গবেষক ও রাজনীতিকরা। প্রশ্ন উঠেছে হঠাত্ করে গবেষক ও রাজনীতিকরা এসব কথা বলছেন কেন? ভারতের হেরিটেজ ফাউন্ডেশন অখন্ড ভারত প্রতিস্ঠা করার বিষয় নিয়ে গবেষনা করছেন। অবশ্য রারা এতে কোন রাজনীতি নেই। শুধুমাত্র গবেষনার স্বার্থেই এ কাজ করা হয়েছে। অনেকেই বলছেন, ইতিহাস পুনর্নির্মান করার জন্যেই এ গবেষনা চালানো হচ্ছে।
আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা আসল ইতিহাসই তৈরি করতে পারছিনা। স্বাধীনতার ঘোষণা কে দিয়েছেন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বিতর্ক আমরা চালিয়ে যাচ্ছি বছরের পর বছর। আমরা বাংগালী না বাংলাদেশী তাও ঠিক হয়নি। আমরা বংগবন্ধু আদালত জাতীয় সংসদ জাতীয় সংগীত নিয়ে কোন কথাই বলতে পারবোনা। এসব নাকি খুবই পবিত্র। আলোচনা সমালোচনার উর্ধে।শুনেছি পশ্চিম বাংলার মানুষ বংগবন্ধুকে দেবতা বা অবতারের মতো সম্মান করেন। আওয়ামী লীগ ও তার সমর্থক বুদ্ধিজীবীদের উপর হয়ত ওই ধরনের একটা প্রভাব বিস্তার লাভ করেছে। ৭২-৭৫ এর দিকে বাংলার বাণীতে মরহুম শেখ মনি বলেছিলেন আইনের শাসন নয় মুজিবের শাসন চান চাই। তিনি আরও বলেছিলেন,বংগবন্ধুর বিরুদ্ধে কিছু বললে জিব কেটে ফেলা হবে।শুরু করেছিলাম সক্রেটিসকে দিয়ে আর শেষ করতে চাই ওই সময়ের স্বৈরাচারী সরকার সম্পর্কে দুটো কথা বলে। ওই সরকারটি টিকে ছিল মাত্র আট মাস। তারপরেই মানুষ বিদ্রোহ করেছে। ওই সরকার গনতন্রের কথা বলেই মানুষের উপর অত্যাচার করতো।
এরশাদ মজুমদার, কবি লেখক ও সাংবাদিক, ( ershadmz40@yahoo.com)