আমি আমাকে কখনও একজন শুদ্ধতম মানুষ মনে করিনা। একজন শুদ্ধতম মানুষের যে গুণাবলী থাকে তা আমার কখনই ছিলনা। তবে আমি জগতের ভাল মানুষদের নিয়ে ভাবি। জগতের সকল ভাল মানুষই আমাকে প্রভাবিত করেন। বাল্যকালে মা আমাকে পবিত্র কালামে পাক কোরাণ শরীফ পড়িয়েছেন। তারপরে কিছুদিন হুজুরের কাছে কোরাণ শিক্ষা নিয়েছি। আমার প্রথম শিক্ষক ছিলেন একজন মৌলবী সাহেব। আর আমার দ্বিতীয় শিক্ষক শ্রীনাথ বাবু। ইনি আমার স্কুলেও শিক্ষক ছিলেন। মনে পড়ে শ্রীনাথ বাবু যেদিন প্রথম আমাকে পড়াতেন আসলেন সেদিন আমার মা পর্দার ভিতরে থেকে বলেছিলেন, বাবু গোশত আপনার হাড্ডি আমার। সেদিন মায়ের অমন বাণীর মর্ম বুঝতে পারিনি। তবে প্রচন্ড ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু শ্রীনাথ বাবু ছিলেন খুবই নরোম মানুষ। তিনি কখনই আমাকে বকাঝকা করেননি। বেত মারাতো দূরের কথা। স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগেই আমার বাল্যশিক্ষা শেষ করার কথা ছিল,কিন্তু শেষ হয়নি। ১৯৪৬ সালের ৬ই জানুয়ারী আমি বারিক মিয়া সাহেবের প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হই। এই স্কুলটি এখন ফেণী মডেল হাই স্কুল নামে পরিচিত। বারিক মিয়া সাহেব ছিলেন স্কুলের হেড মাস্টার। এলাকার সম্মানিত সমাজ সেবক হিসাবে তিনি একজন অনারারী ম্যাজেস্ট্রেটও ছিলেন । স্কুল চালাতেন মূলত: কাজী গফুর সাহেব। তিনি আমাদের সেকেন্ড স্যার হিসাবে পরিচিত ছিলেন। এই স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছি ১৯৪৬ সালের জানুয়ারী মাসে। আমার জেঠাত ভাই রফিক সাহেব আমাকে ভর্তির জন্যে নিয়ে গিয়েছিলেন। তখন তিনিই আমাদের মুরুব্বী ছিলেন। আমরা সবাই তাঁকে মাস্টার ভাইসাব বলে ডাকতাম। রফিক সাহেব ফেণীর বিখ্যাত সাপ্তাহিক হকার্সের সম্পাদক নুরুল করিম মজুমদারের আপন চাচা। করিমের বাবা মমতাজ সাহেব ছিলেন আমাদের কাজিনদের মধ্যে সবার বড়।বৃটিশ সেনা বাহিনীতে চাকুরী করতেন এবং বার্মা ফ্রন্টে ছিলেন।
৪৬ সালটা সম্পর্কে সবার একটা ধারণা থাকা দরকার। ৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ফেণীর স্কুল কলেজ সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। স্কুল কলেজ গুলো ছিল বৃটিশ আর্মির ব্যারাক। এমন কি শহরের অনেক পরিবার বাড়ি ছেড়ে গ্রামের আত্মীয় স্বজনের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। ফেণী ছিল বৃটিশ আর্মির ইস্টার্ণ কমান্ডের হেড কোয়ার্টার। শুনেছি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আইউব খান এই কমান্ডের দায়িত্বে ছিলেন। এই ভদ্রলোক পরে পাকিস্তানের প্রধান সেনাপতি ও প্রেসিডেন্ট হয়ে প্রায় দশ বছর পাকিস্তান দখল করে রেখেছিলেন। গণ আন্দোলনের মুখে জেনারেল আইউব পদত্যাগ করলে প্রধান সেনাপতি জেনারেল ইয়াহিয়া ক্ষমতা দখল করেছিলেন। ৭০ সালে জেনারেল ইয়াহিয়ার নিরপেক্ষ নির্বাচনেই বংগবন্ধু সারা পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির নেতা হিসাবে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বৃটিশ এবং মিত্রশক্তি বিজয়ী হলে ভারতের স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করা হয়। আগেই বলা হয়েছিল, ভারতীয়রা ওই যুদ্ধে বৃটিশকে সাহাযা ও সমর্থন করলে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হবে। বৃটিশ সরকারের এই ঘোষণা সুভাষ বসু বিশ্বাস করেন নি। তিনি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি জাপান ও জার্মানীর সাথে হাত মিলিয়েছিলেন। কিন্তু মিত্রশক্তি মানে বৃটিশ ও তার বন্ধুদের জয়লাভ হওয়ার ফলে তিনি আর ফিরে আসেননি। আসলে হয়ত নেহেরু সরকার তাঁর বিচার করতেন যুদ্ধাপরাদী হিসাবে। তিনি জীবিত কি মৃত তা আমরা এখনও জানিনা। ভারত সরকার তাঁকে জীবিত বা মৃত দেশে ফিরিয়ে আনতে চায়নি।
৪৬ সালের প্রসংগে বলতে গিয়ে প্রাসংগিক কথাগুলো বললাম। তারপরেতো ১৯৪৭ সাল। তখন আমি দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ি। ইংরেজ এবং কংগ্রেসের সাথে রাজনৈতিক যুদ্ধ করে মুসলমানেরা নিজেদের জন্যে আলাদা দেশ পাকিস্তান প্রতিস্ঠা করে। সাত কোটি বা সাড়ে সাত কোটি মুসলমান পাকিস্তানের বাসিন্দা হলেও ভারতে রয়ে গেল আরও চার পাঁচ কোটি মুসলমান। এখন ভারতে প্রায় ২০/২৫ কোটি মুসলমান বাস করছে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশে বাস করছে আরও ৩০ কোটি। সব মিলিয়ে এই উপ মহাদেশে প্রায় ৫০ কোটি মুসলমান বাস করে। কিন্তু স্বপ্নের পাকিস্তান বেশীদিন টিকেনি পাকিস্তানী শাসকদের দু:শাসনের ফলে। ৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত ২৩ বছরে পাকিস্তানে গণতন্ত্র ও সাধারন মানুষের অধিকার প্রায় নির্বাসনে ছিল। পাকিস্তানের ২৩ বছরে পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমানেরা ছিল অর্থনৈতিক বৈষম্যের শিকার। বৈষম্যের অবসানের জন্যে বাংগালী মুসলমানেরা লড়াই করেছে গণতান্ত্রিক ভাবে। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক জান্তা বাংগালী মুসলমানদের কোন কথাই শোনেনি। ফলে পূর্ব পাকিস্তান আলাদা হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ হিসাবে প্রতিস্ঠা লাভ করেছে।এতে ভাতেরও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক লাভ হয়েছে। বিগত ৪০ বছর ধরে ভারত বাংলাদেশে একচেটিয়া ব্যবসা করছে। ৭১ সালে ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীনকরার জন্যে যে পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছিল তা বহু আগেই লাভে পরিণত হয়েছে। যতদিন বাংদেশ থাকবে ততদিন ভারতের এ মুনাফা জারী থাকবে। এছাড়া ভারতকে পূর্ব সীমান্তে লাখ লাখ সৈন্য মোতায়েন করতে হচ্ছেনা। পাকিস্তানকেও ভারত দূর্বল করে দিয়েছে।
বারিক মিয়া সাহেবের স্কুলে আমি সিক্স পর্যন্ত পড়ি। ৫১ সালে বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে আমি ৫২তে ফেনী হাই স্কুলে গিয়ে সেভেনে ভর্তি হই। ৫১ সালের অক্টোবরে আমার মা আশরাফ উন নেসা মারা যান কঠোর টাইফয়েডে। তখন টাইফয়েডের তেমন ভাল চিকিত্সা আবিষ্কার হয়নি। ফলে মায়ের তেমন চিকিত্সা হয়নি। ফেনী হাই স্কুলে ভর্তি হবো বলে মা আমার জন্যে নতুন জামা কাপড় তৈরি করিয়েছিলেন। সে কাপড় পরেই আমি স্কুলে গিয়েছিলাম, কিন্তু মা তা দেখতে পায়নি। আমার প্রথম বইয়ের নাম ‘মায়ের চিঠি’। এই বইয়ের প্রকাশক ছিলেন এ দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যান্কার মুজিবুল হায়দার চৌধুরী। তিনি উদ্যোগ না নিলে ওই বইটি প্রকাশিত হতোনা। মাকে নিয়ে আমি অনেক গুলো কবিতা লিখেছি। আমার মা কিছু লেখাপড়া জানতেন। তিনি আমাকে অংক করাতেন, সেকথা মনে আছে। মায়ের গায়ের রং ফর্সা ছিল। বেশ লম্বাও ছিলেন। তিনি একজন বুদ্ধিদীপ্ত নারী ছিলেন। তবে তূলনা মূলক ভাবে একটু বেশী কড়া ছিলেন। তাঁর মারের দাগ এখনও আমার শরীরে আছে। ১৯৫০ সালের একটি ঘটনা উল্লেখ করছি। সে বছর ফেণীতে দাংগা হয়েছিল বিহারের দাংগার প্রতিক্রিয়া হিসাবে। ওই দাংগার ফলেই আমাদের উকিল পাড়ার সব হিন্দু শিক্ষক, উকিল মোক্তার দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। ফলে পুরো পাড়াটা খালি হয়ে গিয়েছিল।৪৬ সালের দাংগার কারণে গান্ধীজী নোয়াখালি এসেছিলেন। আর ৫০ এর দাংগার কারণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নবাবজাদা লিয়াকত আলী খান ফেণী এসেছিলেন।মা হচ্ছেন রামপুর পাটোয়ারী বাড়ির মেয়ে। আমার নানা কলিম উদ্দিন পাটোয়ারী। মা’র নানার বাড়ি হলো রামপুর সৈয়দ বাড়ি।বাল্যকালে মা’র সাথে সৈয়দ বাড়িতে অনেক গিয়েছি।
আমার দাদা ইয়াকুব আলী মজুমদার প্রায় সোয়াশ’ বছর আগে আনন্দপুর ইউনিয়নের পেচিবাড়ীয়া গ্রাম থেকে ফেণীতে এসে বাড়ি করেছেন। শুনেছি, কলেরায় দাদার মা বাবা দুজনই মারা গেলে তিনি ফেণী এসে তাঁর ফুফুর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।ফুফুদের কাছেই তিনি বড় হয়েছেন এবং স্থায়ী ভাবে ফেণীতে বসবাস শুরু করেন।দাদার বাবার নাম মনসুর আলী মজুমদার। আর দাদার দাদার নাম এনায়েত উল্লাহ মাজমুয়েদার।মাজমুয়েদার একটি ফর্সী শব্দ। জানতে পেরেছি ইরাণি কালচারেল সেন্টারে ফার্সী পড়তে গিয়ে। বাংলায় পরে মজুমদার হয়ে গেছে। ইংরেজীতে এর মানে হচ্ছে ট্রেজারার বা যিনি টাকা জমা রাখেন।দাদার গ্রামের বাড়িতে আমি প্রথম গিয়েছিলাম ৫০/৬০ বছরের মধ্যে। আমার দাদীর নাম শাহাব বিবি। দাদীর বাপের বাড়ি ছিল ফেণী শহরের উপকন্ঠে রাণীর হাটের কাছে। আমি সে বাড়িতেও গিয়েছিলাম। শুনেছি তাঁর নামের সাথে মিল রেখেই আমার রাখা হয়েছিল। দাদাই নাকি আমার নাম রেখেছিলেন।আমার দাদারা আলীর গোস্ঠি বলে পরিচিত ছিলেন। সেই সিলসিলাতেই বড় জেঠা , মেজো জেঠা ও সেজো জেটার নাম ছিল ইউসুফ আলী মজুমদার, রজব আলী মজুমদার ও ফজলে আলী মজুমদার। পরের নাম গুলো আর সেই ভাবে রাখা হয়নি। আমাদের বড়িতে ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন শুরু হয় সেজো জেঠার মাধমে। শুনেছি তিনি ১৯১৯ সালে এন্ট্রান্স বা মেট্রিক পাশ করেন প্রথম বিভাগে। এরপর তিনি বার্মা গিয়ে টেলিগ্রাফ মাস্টারের ট্রেনিং গ্রহন করেন। ট্রেনিং শেষে রেঙুনেই তিনি চাকুরীতে যোগদান করেন।ড্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষ তিনি চাঁটগাঁ এসে কাজে যোগ দেন। শুনেছি, আমাদের পরিবারের সেখানে গদি ছিল। আমার বাবাও বেশ কিছুদিন মৌলমিনে ছিলেন। তাঁর ধানচালের ব্যবসা ছিল। বার্মায় বাংগাল খেদাও আন্দোলন শুরু হলে ৪৫ সালের দিকে চাটগাঁ ফিরে আসেন এবং ব্যবসা শুরু করেন। বাবা নাকি একে খান সাহেবের শ্বশুর আবদুস সাত্তার খান সাহেবের সাথে পায়ে হেটে পাহাড় জংগলের ভিতর দিয়ে পালিয়ে দেশে ফিরে আসেন। খান সাহেবের স্টীমার সার্ভিসের ব্যবসা ছিল। একে খান সাহেবকেও তিনি ব্যবসায় আসার জন্যে উত্সাহিত করেছেন। আমার বাবা সম্বভত ৪৬ সালের দিকে ফেণী এসে ব্যবসা আরম্ভ করেন । এর আগে ৪৪/৪৫ সালের দিকে তিনি মেদিনীপুর এরোড্রাম নির্মাণের কাজ পেয়েছিলেন আরও কয়েকজন বন্ধু সহ। ঙুল ঠিকাদার ছিলেন চিয়ড়ার কেজি আহমদ ও ফরিদপুরের ওয়াহিদুজ্জমান। চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ সাহেবের বাবা সাইদুর রহমান সাহেবও নাকি মেদিনীপুরে কাজ পেয়েছিলেন। সায়েদুর রহমান সাহেব কক্সবাজারের প্রথম হোটেল সায়মনের মালিক ও প্রতিস্ঠাতা।আমার বাবা খুবই দয়ালু একজন মানুষ ছিলেন। তাঁর হিস্যা পাননি এমন আত্মীয় আমাদের খুবই কম ছিল। শেষের দিকে তিনি একটু আর্থিক অনটনে ছিলেন। বড়ছেলে বা সন্তান হিসাবে আমি পরিবারের জন্যে তেমন কিছু করতে পারিনি। আমি আসলে তেমন সাংসারিক মানুষ কখনই ছিলাম না। আমার সংসারের কর্ণধার হলেন আমার স্ত্রী নাজিয়া আখতার। তিনি সংসারের ষোলয়ানা। তিনি এক বলেই আমি তাঁর পাশে ডবল শূণ্য হিসাবে এখনও টিকে আছি। তিনি না থাকলে আমার জীবন শুধুই শূণ্যে ভরা থাকতো।
৫২ সালে ওই স্কুলের অনেক বন্ধুই সে বছর ফেণী হাইস্কুলে ভর্তি হয়েছিল। আমরা যখন ভর্তি হই তখন হেড মাস্টারের দায়িত্ব পালন করছিলেন বজলুর রহমান স্যার। ইনি ছিলেন ফেণী কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল রহমানী স্যারের শ্বশুর। এর কিছুদিন পরেই প্রখ্যাত পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক জালাল সাহেব হেড মাস্টার হিসাবে যোগ দেন।হেড মাস্টার জালাল সাহেবকে নিয়ে তাঁর ছাত্রদের ভিতর বহু গল্প আছে। জালাল সাহেব হেড মাস্টার হিসাবে প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ড পেয়েছিলেন। পরে ফেনী হাইস্কুল সরকারী হয়ে যায়।সরকারী হয়ে যাওয়ার পরেও তিনি অনেকদিন ছিলেন। স্যার হেড মাস্টার হিসাবে এই স্কুল থেকেই রিটায়ার করেছেন। এক সময় আমি স্যারের খুব সমালোচক ছিলাম।তাঁকে অপছন্দ করতাম। পরে আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। সত্যি হেড মাস্টার জালাল সাহেবের মতো ওই রকম হেড মাস্টার সারা পাকিস্তানে মাত্র কয়েকজন ছিলেন। এখন আর সেই ধরণের হেড মাস্টার দেখা যায়না। জালাল স্যারের কথা বলতে গেলে একটা বই হয়ে যাবে। হা্ি স্কুলের অনেক স্যারের কথা এখনও মনে আছে। তাঁরা হলেন মণীন্দ্র চক্রবর্তী, অমিয় চক্রবর্তী, আলম সাহেব,রৌফ সাহেব, সাত্তার সাহেব,রোহিণী কর। স্কুলের প্রথম দেয়াল পত্রিকার সম্পাদক ছিলাম আমি আর আমার সহযোগী ছিলেন কবি শামসুল ইসলাম। সাত্তার স্যার ছিলেন সভাপতি। পত্রিকার নাম সম্ভবত আলো ছিল। একবার আমরা ছাপিয়ে আলো প্রকাশ করেছিলাম। ছাপার অক্ষরে প্রকাশনার সেই আনন্দের কথা আজও ভুলতে পারিনি। কাজী গোলাম রহমানের সাথে আমার প্রাইমারী স্কুল থেকেই পরিচয়। তার বোন কিরণও আমাদের সাথে পড়তো। সেই সময় রামপুর সওদাগর বাড়ির রোকেয়া, রওশন আরা, ডাক্তার করিম সাহেবের মেয়ে শেলী আমাদের সাথে পড়তো।