• Home
  • Who Am I ?

Writing From The Street ( রাস্তা থেকে বলছি )

Just another WordPress.com weblog

Feeds:
Posts
Comments
« হৃদয়ে খন্ডিত বাংলাদেশ
কাবুলীওয়ালা অর্থনীতি »

রাজনীতিতে বিএনপি ভাবনা

January 14, 2016 by writerershad


রাজনীতিতে বিএনপি ভাবনা    /    এরশাদ মজুমদার

রাজনীতিতে এখন বিএনপি ভাবনা বেড়ে গেছে। জেনারেল এরশাদ কদিন আগে বলেছেন, বিএনপি নেতারা তাঁর পার্টিতে যোগ দিতে পারেন। আওয়ামী লীগের মুখর নেতারা ২৪ঘন্টাই বিএনপির নিন্দায় মুখর। বিএনপিকে কিভাবে রক্ষা করা যায় তা নিয়ে তাঁদের চিন্তার শেষ নাই। বিএনপির চিন্তায় প্রধানমন্ত্রীর ঘুম নেই। মনে হয় বিএনপি না থাকলে বাংলাদেশ জান্নাত বা স্বর্গ হয়ে যেতো। জেনারেল মইনের সরকার ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়ে গেছেন। মইনের সরকারের লক্ষ্যই ছিল বিএনপিকে ধ্বংস করা। মইন সরকারের রেশ এখনও চলছে। বিএনপির নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার মামলা রুজু করেছে আওয়ামী লীগ। দেশের মানুষ জানে এসব রাজনৈতিক মামলা।

প্রথম আলোতে আবুল মোমেনের লেখাটি  পড়ে এ লেখাটি লিখতে আমি উদ্বুদ্ধ হয়েছি। লেখাটি প্রথম আলোতে ছাপা হলে ভাল হতো। তাহলে প্রথম আলোর পাঠকজন আমার ভাবনাটা জানতে পারতেন। কিন্তু আমার সেই ভাগ্য নেই। আমার লেখা প্রথম আলো প্রকাশ করেনা। একবার শ্রদ্ধেয় মুসা ভাইয়ের একটি লেখার উত্তরে আমার একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। আবুল মোমেনকে আমি চিনি মনে হচ্ছে। এক সময় আমরা হয়ত এক সাথে কাজ করেছি। আবুল মঞ্জুর আমার বন্ধু। আবুল মোমেনের বাবা পন্ডিত আবুল ফজল সাহেব জিয়া সাহেবের উপদেষ্টা ছিলেন। এদেশের অনেক নামী দামী ও জ্ঞানী গুণী জিয়া সাহেবের উপদেষ্টা ছিলেন।

আবুল মোমেনের লেখাটি আমার ভাল লেগেছে। এক সময়ে আমরা অনেকেই এ সাথে কাজ করেছি। চিন্তাধারাও প্রায় এক রকম ছিল। এখন আর সেদিন নাই। চিন্তার জগতে সবাই আলাদা হয়ে গিয়েছেন। বামপন্থীরা, মানে সমাজতন্ত্রী বা কমিউনিষ্টরা ৯০ ভাগ আওয়ামী লীগের সাথে জড়িয়ে গেছেন। এ আওয়ামী লীগকে বামপন্থী বন্ধুরা ডানপন্থী ও সাম্রাজ্যবাদের দালাল বলে গালাগাল করতেন। আমরা নিজেরাও আওয়ামী লীগকে আমেরিকার দালাল মনে করতাম। সোহরাওয়ার্দী সাহেব ও বংগবন্ধু ছিলেন রাজনীতিতে শক্ত ভাবে সমাজতন্ত্র বিরোধী শক্তি। আওয়ামী মুসলীম লীগ  ছিল মুসলীম লীগের বিকল্প। মুলধারার মুসলীম লীগাররা ছিলেন জসন সাধারন থেকে একটু দূরে। মাওলানা ভাসানী ছিলেন নির্যাতিত সাধারন মানুষের অতি কাছে। ফলে তাঁর দল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মাত্র সাড়ে চার বছরের মধ্যেই মুসলীম লীগকে পরাজিত করে প্রদেশের সরকারী ক্ষমতায় আসীন হয়। দলে মাওলানা সাহেব ছাড়া সবাই ছিলেন আমেরিকাপন্থী। এক সময়ে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের কেন্দ্রেও সোহরাওয়ার্দী সাহেবের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন ছিল। ৫৭ সাল নাগাদ মাওলানা সাহেব আওয়ামী লীগের সাথে টিকে থাকতে পেরেছিলেন। তখন সোহরাওয়ার্দী সাহেবের নেতৃত্বে পুরো দলটাই আমেরিকার তাবেদার হয়ে গিয়েছিল। এক সময় বংগবন্ধু একক ভাবেই দলের নেতা হয়ে গেলেন। দলের অন্যান্য শিক্ষিত নরোমপন্থী নেতারা কোনঠাসা হয়ে দল ত্যাগ করলেন। শেখ সাহেব নিজের মতো করেই দল চালাতে লাগলেন। ডা: বৈদ্য লিখেছেন শেখ সাহেবকে গোপনে সনাতনধর্মীরা সমর্থন দেয়ার ওয়াদা করে। সেই ভিত্তিতেই পূর্ব বাংলার রাজনীতিতে চলতে লাগলো সনাতনধর্মীদের নিয়ন্ত্রণ এবং সে নিয়ন্ত্রণ স্বাধীন বাংলাদেশেও অব্যাহত আছে। সনাতনধর্মীরা চান রাজনীতিতে ইসলাম বা মুসলমান মুক্ত মতবাদ। তাঁদের এই মতবাদের কারণেই ৪৭ সালে অখন্ড বাংলাদেশ খন্ডিত হয়েছে। বৈদ্যবাবু স্বাধীন বাংলাদেশেও থাকেননি। কারণ,শেখ সাহেব নাকি বৈদ্যবাবুর মতে ইসলামী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। তবে তিনি ওয়াদা করেছেন তিনি পুরো বাংগালীদের দেশ( ইসলাম মুক্ত) প্রতিষ্ঠা করে আবার এদেশে ফিরে আসবেন।

৭০ এর নির্বাচনে শেখ সাহেবের একক নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের প্রধান দল হিসাবে বিকশিত হলো। এ সময়ে তেমন কোন বিরোধী দল ছিলনা। অনেক দল নির্বাচন বর্জন করেছিল। আর নির্বাচনটি হয়েছিল বাংগালী বনাম অবাংগালী মানসিকতার ভিত্তিতে। এ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের মনোভাব প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু  পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ও ভুট্টো নির্বাচিত প্রধান দলের নেতা শেখ সাহেবকে ক্ষমতা না দিয়ে পাকিস্তান ভাংগার উদ্যোগ নিয়ে ২৫শে মার্চ রাতে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের উপর সামরিক অভিযান চালায়। ফলে পাকিস্তান ভেংগে যায় ও স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের পেছনের কথা পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিলাম। বংগবন্ধু কোন মানসিকতার মানুষ ছিলেন তা তাঁর আত্ম জীবনী পড়লেই আপনারা জানতে পারবেন। তিনি কেন পাকিস্তান চেয়েছিলেন তাও সে বইতে আছে। তিনি একজন খাঁটি বাংগালী মুসলমান ছিলেন।

সর্বজন শ্রদ্ধেয় আরবী নামধারী বাংগালী নাগরিক আনিসুসজ্জামান সাহেবের একটি লেখা পড়লাম প্রথম আলোর সাহিত্য পাতায়। তিনি চলমান সংকট নিয়ে কিছু কথা বলেছেন। তাঁর সংকট হলো তিনি বাংগালী বা বাংলাদেশী তা ঠিক করতে পারছেন না। তিনি ইসলাম মুক্ত একটি বাংলাদেশ চান। তাঁর ভাষায় তিনি বলেছেন অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও বাংলাদেশ। তাঁর লেখায় তিনি বলেছেন,ধর্মের নামে সংবিধান লংঘন ও দেশকে মধ্যযুগে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টাকে প্রতিহত করার আহবান জানিয়েছেন। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়েও প্রশ্নও তুলেছেন। আনিস সাহেবের বাপদাদারা ধর্মীয় কারণেই ৪৭ সালে ভারতীয় বাংলাদেশ ত্যাগ করে পূর্ব পাকিস্তানে চলে এসেছিলেন। কেন এসেছিলেন তার কোন ব্যাখ্যা তিনি কখনই দেননি। এক সময় তিনি বামচিন্তা ধারার লোক ছিলেন বলে বহুল প্রচারিত। এখন তিনি আওয়ামী ঘরণার লোক বলে প্রচারিত।  তাঁর ঘরাণার লোকেরা নিজেদের বাংলাদেশী বলতে চাননা। তাঁরা নিজেদের বাংগালী বলতে ভালবাসেন। অথচ বংগবন্ধু বলেছিলেন ‘ আমি বাংগালী ,আমি মুসলমান। আমি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলমান দেশের নেতা। এ কারণেই তিনি ৭৪ সালে লাহোরে ওআইসি সম্মেলনে গিয়েছিলেন। তিনিই ইসলামিক একাডেমীকে ইসলামী ফাউন্ডেশনে পরিণত করে অবিভক্ত বাংলার মুসলীগ লীগের সেক্রেটারী জেনারেল আল্লামা আবুল হাসেমকে( বদরুদ্দিন ওমরের বাবা) মহা পরিচালক করেছিলেন। আগেই বলেছি,ডা: বৈদ্য বলেছেন, বংগবন্ধু ইসলামিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়ার তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন। শ্রদ্ধেয় আনিস সাহেবের লেখাটি বেশ বড় তাই এখানে পুরো আলোচনা করা সম্ভব নয়। কদিন আগে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত সেন বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক শব্দটাকে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে রাজনৈতিক স্বার্থে। সেদিন বেশী দূরে নয় যেদিন গণতন্ত্র শব্দের অর্থ বদলে যাবে। যেমন বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্রের নাট্যমঞ্চ আছে। নিয়মিত গণতন্ত্রের নাটক মঞ্চস্থ হয়। মানবাধিকার পোষাক আছে, কিন্তু ভিতরে মানুষ নেই। এদেশে রাষ্ট্র মানুষের প্রভু। এ সকল বিষয়ে এদেশের বুদ্ধিজীবী, কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিকরা একমত হতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা হননি। বরং দলদাস হয়ে গেছেন।

আবুল মোমেনরা আওয়ামী লীগকে একটি প্রগতিশীল আধুনিক রাজনৈতিক দল মনে করেন। যা আমি মোটেই মনে করিনা। দুটি দলই আমার কাছে এক রকম। দুটি দলই বুর্জোয়া শ্রেণী দ্বারা পরিচালিত। দুই দলেরই ভোটার বা সমর্থকের সংখ্যা কাছাকাছি। একদল ভারতপন্থী বলে পরিচিত,আরেক দল ইসলামপন্থী বলে পরিচিত। দুই দলই আমেরিকা বা পশ্চিমের আনুকুল্য প্রার্থনা করে। একদল ও দলনেত্রীর প্রধানতম কাজ ও বক্তব্য হলো তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষকে গালমন্দ করা। আরেকজন প্রায়ই নিরব থাকেন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে চলমান রাজনৈতিক অবস্থায় বিরোধী  দলেরই জিতার সম্ভাবনা থাকে। এখন বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়না। ফলে যে দল ক্ষমতায় থাকে সে দল রাস্ট্রের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করে নির্বাচনে জিতে দলীয় ক্ষমতাকে অব্যাহত রাখতে চায়। দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের প্রধান কারণ নির্বাচন পদ্ধতি। বিচারপতি খায়রুল হক সাহেব সিনেমা হলের মামলায় সংবিধান নিয়ে নানা মত বা রায় দিয়েছেন। যা দেশকে বড় বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ যাবত যত জীবনের হানি হয়েছে তার কারণ খায়রুল হক সাহেবের রায়।  এতদিন পরে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বলেছেন,অবসরে যাওয়ার পর কোন বিচারপতি রায় লিখতে পারেন না। এটা সংবিধান পরিপন্থী। এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে ইকতেদার আহমদ আসিফ নজরুল সাহেবের দুটি নিবন্ধ  নয়া দিগন্ত ও প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়েছে। আপনারা দুটি নিবন্ধই পড়তে পারেন।

আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় আর বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। এ ব্যাপারে দেশে কোন রাজনৈতিক এক্যমত নেই। এ বিষয়ে মোমেনরা তেমন কিছু বলেন না। বৈদ্যবাবু আর তথাকথিত আরবী নামধারী কিছু প্রগতিশীল মনে করেন  আওয়ামী লীগেরই ক্ষমতা থাকা দরকার। তাহলে দেশ প্রগতিশীল হবে। আমিতো মনে করি দুটি দলই এক চরিত্রের।  দুটি দলই ধনবাদী অর্থনীতিতে বিশ্বাস করে। দুটি দলই সংসদীয় রাজনীতিতে আস্থাবান। শেখ সাহেব, জিয়া ও এরশাদ সাহেব প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতিতে দেশ চালিয়েছেন। এরশাদের পতনের পর আওয়ামী লীগ সংসদীয় ব্যবস্থার দাবী তুললো। ফলে দুই দলের সমঝোতায় সংসদীয় ব্যবস্থা চালু হয়। কিন্তু প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতির সকল ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে চলে যায়। তা আজ পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। এজন্যেই বলা হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মোগল সম্রাট বা রাশিয়ার জার সম্রাটের ক্ষমতা ভোগ করেন। ফলে রাষ্ট্রপতি বা সংদের হাতে কোন ক্ষমতা থাকেনা। জাতীয় সংকটে প্রেসিডেন্ট বা সংসদ কিছুই করতে পারেন না। নির্বাচন কালীন সময়ে সরকার ব্যবস্থা কি রকম হওয়া উচিত তা নিয়ে মোমেনরা কথা বলেন না। তাঁদের দৃষ্টিতে আওয়ামী লীগ প্রগতিশীল আর বিএনপি অপ্রগতিশীল ধর্মপন্থী। আওয়ামী লীগের আদর্শ হলো গণতন্ত্রের সাথে শক্তির ব্যবহার। ক্ষমতায় থাকলে রাষ্ট্র শক্তি ব্যবহার করে। আর ক্ষমতার বাইরে থাকলে লাঠি ও লগি বৈঠা ব্যবহার করে। সংসদে নাকি চেয়ার মারামারি আওয়ামী লীগের মাধ্যমেই শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিজ দলের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ভাসানীকে লাঠি দ্বারা বিদায় করেছে। আমরা ছাত্রকাল থেকে দেখে এসেছি আওয়ামী লীগ শক্তি প্রয়োগ করেই প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করে এসেছে। সামন্তবাদী মনোভাব থেকেই শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি এসেছে। মোমেনের বিশ্লেষণটি তাঁর নিজস্ব দৃষ্টি ভংগীর ফল। আমি তাঁর প্রতি সম্মান দেখিয়েই আমার মতটি জানালাম। মোমেনের দৃষ্টিতে বিএনপি ধর্মপন্থী। ধর্মবাদী দলগুলোর সাথে তার ঐক্য বা জোট আছে। মোমেন আরেকটি কথা বলেছেন, তা হলো বিএনপির অনেক ভোট আছে, কিন্তু নেতৃত্ব ঠক নেই বা চলমান নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপি টিকবেনা। এমন কথা আওয়ামী লীগ নেতা ও একই ঘরাণার বুদ্ধিজীবীরা বলে থাকেন। কিছু বুদ্ধিজীবী সব সময়ে সরকারের তাবেদারী করে থাকেন। জেনারেল আইউবের সরকারের কাছে থেকে সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন এমন বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা কম ছিলনা। আদমজী দাউদের পুরুস্কার নিয়েছেন তেমন বুদ্ধিজীবী হয়ত এখনও জীবিত আছেন। কিন্তু একটি দেশে স্বাধীন ভাবে দলমুক্ত মতামত প্রকাশ করার জন্যে কোন লোক থাকবেনা তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এখন রাষ্ট্রীয় পদক গুলো দলীয় পদকে পরিণত হয়েছে। যে দল ক্ষমতায় থাকে সে দলের ভক্তরা পুরুস্কার পাওয়াটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। স্বাধীন চিন্তার গূণীজনরা কোথায় পালিয়ে আছেন কে জানে।

এখন প্রশ্ন হলো, সব রাজনৈতিক দলই কি আওয়ামী লীগের মতো হবে? ভিন্ন মত ও পথের রাজনৈতিক দল কি থাকবেনা? ভোটের বিবেচনায় বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগের মত ও চিন্তার বাইরে বা বিপরীতে দলটি গড়ে উঠেছে। এটা গণতন্ত্রের জন্যে কল্যাণকর। একবার ভাবুন, বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক দল বিকশিত না হলে দেশের রাজনীতির হাল কি হতো? যাঁরা আওয়ামী চিন্তার বাইরের চিন্তাকে পছন্দ করেন না তাঁরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না এটা অনায়াসে বলা যায়। পাকিস্তান আমলে সামরিক ও বেসামরিক কায়েমীবাদী একটি গোষ্ঠীর চক্রান্তে গণতন্ত্র বিকশিত হতে পারেনি। ফলে পাকিস্তান ভেংগে গেছে। বাংলাদেশে তেমন কোন অবস্থা নেই। তবে ক্ষমতাবান যদি রাস্ট্র শক্তিকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেন তাহলে দেশের এক্যশক্তি দূর্বল হয়ে যাবে। গণতন্ত্রের প্রতি জনগণের আস্থা বিপদগ্রস্থ হবে। সুযোগ গ্রহণ করবে বাংলাদেশ বিরোধী শক্তি। সকল দল ও মতের অংশ গ্রহণে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ অনুষ্ঠিত হওয়া দেশের জন্যে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনকে দেশে বিদেশে কেউই গ্রহণ করেনি এটা আওয়ামী লীগ ভাল করেই জানে। এখন দেশে নতুন কথা শোনা যাচ্ছে। গণতন্ত্রের চেয়ে উন্নয়নের বেশী প্রয়োজন। এমন কথা জেনারেল আইউবও বলেছিলেন। তিনি উন্নয়নের দশক পালন করেছিলেন। সরকারে থাকলে এ ধরণের প্রোপাগান্ডা চালানো খুবই সহজ। প্রোপাগান্ডার মেশিন হিসাবে মিডিয়ার লোকেরা ব্যবহৃত হয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর মতে এখন দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। আর এই একই সময়ে দেশের মানুষ কাজের আশায় সীমান্ত ও সাগর পাড়ি দিয়ে জীবন হারাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী নাকি বলছেন, তারা দেশের শত্রু, দেশের ইমেজ নষ্ট করার জন্যে নাটক করছে। বিগত সাত বছরে কয়েক কোটি মানুষ বেকার জীবন যাপন করছে। দুর্ণীতি দিন দিন বেড়েই চলেছে। ঘুষ বৃদ্ধির কারণে সরকারী কর্মচারীরা সুখে আছেন। শিশু হত্যা ও ধর্ষণ বেড়েছে সীমাহীন ভাবে। এসব ব্যাপারে দলদাস বুদ্ধিজীবীদের চোখ বন্ধ। তাঁরা সরকারের গুণ জ্ঞানে অন্ধ।

লেখক: কবি ও ঐতিহ্য গবেষক

ershadmz@gmail.com

Share this:

  • Twitter
  • Facebook

Like this:

Like Loading...

Related

Posted in Uncategorized |

  • Archives

    • May 2018 (1)
    • February 2016 (1)
    • January 2016 (2)
    • December 2015 (2)
    • November 2015 (1)
    • October 2015 (1)
    • September 2015 (1)
    • August 2015 (4)
    • July 2015 (1)
    • June 2015 (4)
    • May 2015 (3)
    • April 2015 (4)
    • March 2015 (5)
    • February 2015 (2)
    • January 2015 (1)
    • December 2014 (10)
    • November 2014 (4)
    • October 2014 (6)
    • September 2014 (6)
    • August 2014 (4)
    • July 2014 (3)
    • June 2014 (5)
    • May 2014 (5)
    • April 2014 (11)
    • March 2014 (21)
    • February 2014 (27)
    • January 2014 (11)
    • December 2013 (1)
    • November 2013 (5)
    • October 2013 (12)
    • September 2013 (10)
    • August 2013 (3)
    • July 2013 (8)
    • June 2013 (5)
    • May 2013 (4)
    • April 2013 (6)
    • March 2013 (7)
    • February 2013 (5)
    • January 2013 (5)
    • December 2012 (4)
    • November 2012 (3)
    • October 2012 (2)
    • September 2012 (4)
    • August 2012 (3)
    • July 2012 (4)
    • June 2012 (5)
    • May 2012 (7)
    • April 2012 (5)
    • March 2012 (5)
    • February 2012 (4)
    • January 2012 (7)
    • December 2011 (8)
    • November 2011 (1)
    • October 2011 (7)
    • September 2011 (4)
    • August 2011 (2)
    • July 2011 (4)
    • June 2011 (8)
    • May 2011 (9)
    • April 2011 (8)
    • March 2011 (5)
    • February 2011 (4)
    • January 2011 (4)
    • December 2010 (7)
    • November 2010 (2)
    • October 2010 (8)
    • September 2010 (5)
    • June 2010 (1)
    • May 2010 (1)
    • February 2010 (2)
    • June 2009 (5)
    • May 2009 (32)
  • Categories

    • Articles (119)
    • উপন্যাস (1)
    • English Articles (1)
    • Political Column (45)
      • Free Thoughts (19)
    • Uncategorized (232)
  • Pages

    • Who Am I ?

Blog at WordPress.com.

WPThemes.


Privacy & Cookies: This site uses cookies. By continuing to use this website, you agree to their use.
To find out more, including how to control cookies, see here: Cookie Policy
  • Follow Following
    • Writing From The Street ( রাস্তা থেকে বলছি )
    • Join 30 other followers
    • Already have a WordPress.com account? Log in now.
    • Writing From The Street ( রাস্তা থেকে বলছি )
    • Customize
    • Follow Following
    • Sign up
    • Log in
    • Copy shortlink
    • Report this content
    • View post in Reader
    • Manage subscriptions
    • Collapse this bar
%d bloggers like this: