• Home
  • Who Am I ?

Writing From The Street ( রাস্তা থেকে বলছি )

Just another WordPress.com weblog

Feeds:
Posts
Comments
« রাজনীতিতে অসত্য ভাষন ও কৌশল
একজন সংখ্যালঘুর আত্মকথন »

ব্যবসার রাজনীতি ও রাজনীতির ব্যবসা

October 21, 2015 by writerershad


ব্যবসার রাজনীতি ও রাজনীতির ব্যবসা / এরশাদ মজুমদার

অনেকদিন পর আমাদের রাস্ট্রপতির মুখে একটি মূল্যবান কথা শুনলাম। ‘কোটেবল কোটস’ বলা যেতে পারে। হঠাত্‍ করে কেন তিনি এমন মূল্যাবান কথা বললেন তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছেনা। আমাদের সংবিধান মোতাবেক তিনি রাস্ট্রপতি হলেও তাঁর তেমন কোন ক্ষমতা নেই। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া আমাদের রাস্ট্রপতিরা স্বাধীন ভাবে তেমন কোন কাজ করতে পারেননা। এটা জেনে শুনেই সবাই রাস্ট্রপতি হন। এই পদ ও পদবী একটি সাংবিধানিক অলংকার। আমরা দেখতে পাই সংসদ তাঁকে নির্বাচিত করেন, আসলে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে মনোনীত করেন। দলের বাইরে যাওয়ার কোন ক্ষমতা সাংসদদের নেই। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন সাহেব বলেছিলেন, রাস্ট্রপতিদের কবর জেয়ারত আর মিলাদে যাওয়া ছাড়া তেমন কোন কাজ নেই। তিনি আরও একটি ‘কোটেবল কোটস’ বলেছিলেন, তা হলো,ছাত্রদের এখন পড়ালেখার দরকার নেই, কারণ রাজনীতির মাধ্যমে ছাত্ররা এমপি মন্ত্রী হতে পারে। তাহলে তারা পড়ালেখা করবে কেন? মেধাবী ছাত্ররাতো চাকুরী করবে। সচীব ও বিচারপতি হবেন। ধনী বা বিত্তবান হতেতো পড়ালেখা লাগেনা। মেধাবীরা মেধাহীনদের চাকুরী করবেন। আবদুল হামিদ সাহেব একজন আইনজীবী। তিনি বহু বছর ধরে রাজনীতি করছেন। সংসদের স্পীকার হিসাবও তিনি নাম করেছিলেন। যদিও স্পীকারও মনোনীত করেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও কাগজে কলমে দেখানো হয় সংসদীয় দল স্পীকার নির্বাচিত করে। হামিদ সাহেব বলেছেন, তিনি এখন বন্দী জীবন যাপন করেন। তিনি ইচ্ছা করলেই তাঁর এলাকার জনগণের সাথে দেখা করতে পারেননা। তিনি বলেছেন রাজনীতি এখন ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে। অক্টোবরের ১৪ তারিখে ইংরাজী পত্রিকা ডেইলী স্টার এক বিশ্লেষন ধর্মী প্রতিবেদনে বলেছে, ৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে মাত্র চার পারসেন্ট ব্যবসায়ী প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হয়েছে। ২০০৮ সালের জেনারেল মইনের বিতর্কিত নির্বাচনে শতকরা ৬৩ ভাগ ব্যবসায়ী সংসদে নির্বাচিত হয়েছে। আসলে এখন রাজনীতি ও সংসদ নিয়ন্ত্রন করেন ব্যবসায়ীরা। আসলে রাজনীতিতে ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের উত্থান শুরু হয়েছে জেনারেল আইউবের আমলে। তবে তখনও ব্যবসায়ীরা পুরো সংসদ দখলে নিতে পারেনি। সে সময়ে ব্যবসায়ীরা সরাসরি রাজনীতিতে আসতেন না। তাঁরা টাকা দিয়ে সাংসদদের কিনে নিজেদের লক্ষ্য হাসিল করতেন। একবার শিল্পপতি বাওয়ানী আমাকে বলেছিলেন,আমরা চাই কাজ। তাই আমাদের স্বার্থের পক্ষে কাজ আদায় করে নিতাম সাংসদদের দিয়ে। এখন ব্যবসায়ীরা নিজেরাই সংসদে উপস্থিত থেকে নিজেদের লক্ষ্য হাসিল করছেন।
সাহাবুদ্দিন সাহেব ছিলেন একজন বিচারপতি। তিনি আইন সংবিধান ভালই জানেন ও বুঝেন। কিন্তু রাস্ট্রপতি হিসাবে তিনি সংবিধানের বাইরে যেতে পারেননা। আমাদের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে রাজা বাদশাহর ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারকে দেশে বিদেশে অনেকেই কর্তৃত্ববাদী সরকার বলে থাকেন। আসলে চলমান সংবিধানই প্রধানমন্ত্রী ও সরকারকে কর্তৃত্ববাদী বানিয়েছে। প্রত্যেক সরকারই সুযোগ পেলেই সংবিধানকে নিজের মতো করে সাজাবার চেস্টা করেছেন। ৭২এর সংবিধানও তৈরি করা হয়েছে এক দলীয় সাংসদরা। তখন অবশ্য সাংসদদের বেশীর ভাগই ছিলেন রাজনীতিক এবং শিক্ষিত। তবুও সংবিধান ছিল বংগবন্ধু প্রভাবিত। তখন বংগবন্ধুর জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী। তাঁর কথা ও ভাবনার বাইরে অন্য কোন ভাবনা ছিলনা। তাই তিনি চোখের পলকেই এক দলীয় সংবিধান তৈরি করতে পেরেছিলেন। অথচ তিনি সারাজীবন লড়াই করেছেন বহু দলীয় গণতন্ত্রের জন্যে। বামপন্থী ধারার কিছু লোকের কুমন্ত্রণায় তিনি এক দলীয় ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। তখন তিনিই ছিলেন রাস্ট্র ও দেশ। বংগবন্ধুর ভাগিনা শেখ মনি লিখেছিলেন, আইনের শাসন নয়, মুজিবের শাসন চাই । শেখ মনিই পল্টনের বক্তৃতায় বলেছিলেন, বংগবন্ধুর বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে জিহ্বা কেটে ফেলা হবে। তাবেদারদের রাস্তার শ্লোগাণ ছিল‘ এক নেতা এক দেশ, বংগবন্ধু বাংলাদেশ। চতুর্থ সংশোধনীতে বংগবন্ধুকে রাস্ট্রপতি হিসাবে যে সাংবিধানিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল তা পরবর্তী শাসকরা ব্যবহার করে চলেছেন। সংসদীয় সরকার চালু হওয়ার পরেও সেই ক্ষমতা ভোগ করছেন প্রধানমন্ত্রীরা।আগামীতেও প্রধানমন্ত্রীরা রাজকীয় ক্ষমতা ভোগ করবেন একথা নির্ভয়ে বলা যায়। কারণ, নিজের ক্ষমতা কমিয়ে বা ক্ষমতার সমন্বয় সাধন করার ইচ্ছা কে করবে। বাংলাদেশের সংবিধানের আমুল পরিবর্তন দরকার এ চিন্তা আমার মতো কয়েকজন নাগরিকের হয়ত আছে। কিন্তু আমি বা আমরা ক’জন কি করতে পারি। সংবিধান ও নাগরিক অধিকার নিয়ে এখন আর ভাবার মতো কেউ নেই। সবাই যার যার স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত। ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্যে যতটুকু ভাবেন তার চেয়ে হাজার গুণ বেশী ভাবেন খালেদা জিয়াকে নিয়ে। তিনি তাঁর সকল ভাষণে খালেদার কথা না বলে পারেন। আইউব খান আইন করে বিরোধী দলের রাজনীতিকদের রাজনীতি করা নিষিদ্ধ করেছিলেন। সে ধরনের কোন আইন করার কথা প্রধানমন্ত্রী ভাবতে পারেন। নেহেরুজী,লী কুয়াং, মহাথির, পার্ক চুং হি সহ আরও অনেকে যদি ২০/৩০ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারেন তিনি পারবেন কেন। এ বিষয়েও তিনি ভাবতে পারেন। আরও ভাবতে পারেন দেশের দ্রুত উন্নতি ও কল্যাণের জন্যে একশ’ভাগ গণতন্ত্রের কি প্রয়োজন? আইউব খান বেসিক ডেমোক্রেসি বা মৌলিক গণতন্ত্র চালু করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীও সে রকম নতুন কিছু একটা ভাবতে পারেন। তাহলে বিরোধী দলের উত্‍পাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। শোনা যায় বিরোধী দলের কর্মী ও নেতাদের বিরুদ্ধে কয়েক লাখ মামলা আছে। হাজার রাজনৈতিক কর্মী ও নেতা জেলে আছেন। এতো ঝক্কি ঝামেলার কি প্রয়োজন? কোন আদালতই মামলা সত্য মিথ্যা কি তা নিয়ে ভাবেন না। তাঁরা পুলিশ বা রেব কি অভিযোগ আনলো তার ভিত্তিতে বিচার করেন। আবারও সংবিধান ও আইনের কথা এসে গেল।
এর আগেও আমি চলমান আইন ও সংবিধান নিয়ে আমি লিখেছি। এ বিষয় নিয়ে দেশের আইন বিশেষজ্ঞ ও বুদ্ধিজীবীরা ভাবেন না। বাংলাদেশে এখন মানুষের স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার এর চেয়ে রাস্ট্র, সংবিধান ও সরকার কোটি কোটি গুণ বড়। নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষার জন্যে কাগজে কলমে হয়ত কোন আইন থাকতে পারে। কিন্তু বাস্তবে তা তেমন দেখা যায়না। ল্যাংড়া খোঁড়া, মাজুর ও বকলাংগ,দেখতে মানুষের মতো হলেই নাগরিক ও ভোটার হওয়া যায়। রাস্ট্রপতির এক ভোট আবার বিকলাংগ মাজুরেরও এক ভোট। সুতরাং মানুষ ও নাগরিক হিসাবে আইনের দৃষ্টিতে তাঁরা সমান। কিন্তু বাস্তবে তাঁরা প্রভু ও দাস। শুধু দাসের চেয়ে ক্রীতদাস অনেক ভাল। ক্রীতদাসের মালিক তাঁর ভরণ পোষণের দায়িত্ব পালন করেন। শুধু দাসের সে অধিকার নেই। বাংলাদেশে অশিক্ষা ও নিরক্ষতার কারণে দাসেরা জানেনা তাদের অধিকার কি? দাসদের উপর অত্যাচার শুরু হয় তহশীল অফিস থেকে। কারণ, প্রজা বা নাগরিক তাঁর জমিজমা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেনা। আমরা ছাত্র বয়সে তহশীল অফসের বিরুদ্ধে বহু আন্দোলন করেছি। কিন্তু আইনের কোন পরিবর্তন হয়না। সাধারন মানুষের কথা ভেবে কোন আইন তৈরি করা হয়না। তবুও আজ সকালে খুব সুন্দর আশাপ্রদ একটি খবর দেখলাম প্রথম আলোতে। রাজশাহীর পবা উপজেলার সহকারী কমিশনার ল্যান্ড শহাদাত হোসেন তাঁর অফিসে বিপ্লব ঘটিয়েছেন। সেখানে সেবাপ্রার্থীরা এখন আর দিনের পর দিন ওই অফিসে ধর্ণা দেয়না। আশে পাশে কোথাও দালাল নেই। বিভাগীয় কমিশনার সারা বিভাগে শাহাদাত হোসেনের মডেল চালু করার চেস্টা শুরু করেছেন। সরকার ইচ্ছা করলে এই মডেল সারা দেশ চালু করতে পারেন। আইন হয়ত আগে থেকেই আছে। শাহাদার হোসেন নতুন কোন আইন বানাননি। এখানে মানুষটই প্রধান। চলমান ব্যবস্থায় এসি ল্যান্ড পদটি খুবই মুনাফা জনক। অনেকেই মুনাফার জন্যে ওই পদে চাকুরী গ্রহণ করেন। শাহাদাত হোসেন বাংলাদেশের ঘুনেধরা প্রশাসনের মধ্যে একটি আলোর রেখা। চলমান রাজনীতি,সংবিধান ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার কথা ভেবেই রাস্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন তিনি একজন বন্দী। নিশ্চয়ই তিনি আক্ষেপ ও বেদনা থেকেই বন্দীত্ব জীবনের কথা বলেছেন। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে সাবেক রাস্ট্রপতি বি চৌধুরীকে কোন পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করতে হয়েছে। তাঁর পদত্যাগ নিয়ে এখনও নানা গুজব রয়েছে। তাঁর তখনকার দল বিএনপি থেকে খোলসা করে আজও কিছু বলা হয়নি কিন্তু চৌধুরী সাহেব গোস্বা ও অভিমান করে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ত্যাগ করেননি। তিনি বিকল্পধারা নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করে রাজনীতিতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে চলেছেন। আওয়ামী মহল ধারাণা করেছিল বি চৌধুরী সাহেব ভারত সমর্থক হয়ে ইসলাম মুক্ত তথাকথিত বাংগালী জাতীয়তাবাদের দিকে ঝুঁকে পড়বেন। না, আদর্শগত কারণে তিনি তা করেননি। তিনি একজন নামজাদা ডাক্তার ও ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সদস্য। আচার ব্যবহারেও তিনি একজন মিস্টি মানুষ। খালেদা জিয়া ও বিএনপির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অন্যকোন রাজনৈতিক দলে যাননি।
বাংলাদেশের রাজনীতি এখন দলদাসদের রাজনীতি। দল বিবেক বর্জিত কাজ করলেও কারো কিছু বলার নেই। সবকিছুই ঠিক করেন দলনেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী। দলনেত্রী কি ভাবছেন তাই ভাববে দল ও দলের কর্মীরা। বাংলাদেশে এখন দল বা সরকারে কোন গনতন্ত্র নেই। দলনেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী চিন্তাই দল সরকার ও রাস্ট্রের চিন্তা। ফলে,একদলীয় গনতন্ত্র ও শাসন নয় দেশে চলছে এখন এক ব্যক্তির ও চিন্তা , শাসন ও গণতন্ত্র। ক্যাবিনেট ও সংসদ হলো এক ব্যক্তির সহায়ক। বাংলাদেশ এখন প্রায় সকল ধরনের মিডিয়া প্রধানমন্ত্রীর তাবেদার। বিপরীত চিন্তা করলেই প্রকাশনা ও প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়। আমরা সবাই মোটামুটি জানি ট্রান্সকমের প্রকাশনা গুলো আদর্শ ও দর্শনের দিক থেকে চলমান সরকারের কাছাকাছি। তবুও তাদের প্রকাশনাকে প্রধানমন্ত্রী বা সরকার ভিন্ন চোখে দেখেন। প্রধানমন্ত্রীর চিন্তার আলোকে আলোকিত একজন শিক্ষিত ধনী ভক্ত যাঁকে আমি খুবই পছন্দ করি। তিনি অতীব দরদ দিয়ে আমাকে বললেন,শুধু আপনার লেখা পড়ার জন্যেই আমরা নয়াদিগন্ত পড়ি খুব মনে কস্ট নিয়ে। এটাতো রাজাকারদের কাগজ। আপনি অন্য কাগজে লিখুন,আমি ফোন করে বলে দেবো। দুটি পত্রিকার নাম উল্লেখ করে বললেন এ কাগজ দুটোতে লিখুন। ধনী শিক্ষিত মানুষটি আমার খুবই প্রিয়ভাজন। মনের বৈকল্য ও সীমাবদ্ধতার কারণে তিনি আমাকে ওই প্রস্তাব দিয়েছেন। তাতে আমি মনে কষ্ট পাইনি। কারণ, বন্ধুটি হয়ত একদেশ দর্শী। তাঁর অন্তরের জানালা গুলো হয়ত বন্ধ হয়ে গেছে। এখানে জগত বিখ্যাত জ্ঞানী ও ইতিহাসবিদ আলবিরুণী ভারতত্ব নামে এক হাজার বছর আগে আরবীতে একটি বই রচনা করেন। এই বইটি অনুবাদ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড.হাবিবুল্লাহ। তাঁর সেই বই থেকে উল্লেখ করছি।‘ মানুষের পরিচয় পাওয়া যায় তার দুইটি প্রত্যংগ থেকে,যার একটি জিহ্বা ও অপরটি হৃদয়। তিনি আরও বলেছেন,মানুষ মানুষ হয় দুইটি দিরহামের জোরে। আলবিরুণীর সাগরেদরা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, উস্তাদ, আপনি ধনীদের কাছে যান? উত্তরে তিনি বলেছেন, বোকারা, আমি খাদ্য সংগ্রেহের জন্যে ধনীদের কাছে যাই। জ্ঞানের প্রয়োজন নেই বলে তাঁরা আমার কাছে আসেনা। এক হাজার বছরের আগের কথাটি আজও জারী আছে। ধনীরা ধন দিয়ে সবকিছু হাসিল করে নিচ্ছে। সব সরকারই শিক্ষা, চিকিত্‍সাকে বাণিজ্যকরন করেছে। ধনীরা হাসপাতাল বসিয়েছে। ডাক্তারদের সাথে এক মাসেও এপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যায়না। ডাক্তারের ফি দশ মিনিটের জন্যে বারোশ’টাকা। দ্বিতীয় বার দেখাতে হলে এক সপ্তাহের ভিতর দেখালে কোন ফিস লাগেনা। এক সপ্তাহ পরে গেলে আবার বারোশ’ টাকা। একই ভাবে বেসরকারি স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখাও বড় ধরণের ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। ধনীরা এখন বিদ্যার মালিক। আলবিরুনী বলেন,ধনের মালিক হলেই সমাজে সম্মানিত মানুষে পরিণত হয়। ফলে বিদ্যার প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে ধনের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। বাংলাদেশে সংখ্যা বছর বছর বাড়তে থাকলেও তাদের লক্ষ্য মানুষ বা জ্ঞানী হওয়া নয়। আমাদের বিদ্যা ব্যবস্থায় মানুষ তৈরি না করে তৈরি করছে এক ধরণের মানুষের চেহারায় এক ধরণের প্রাণী। আলকোরাণের ছত্রে ছত্রে মানুষ কি এবং কেন তার বিশদ বিবরণ আছে। আমাদের দেশে আরবী নামধারী কিছু কিছু তথাকথিত মানুষ রূপী মানুষ আছে। এরা সমাজের উচ্চ স্তরে বাস করেন এবং সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ধরণের মানুষেরাই এখন দেশ রাস্ট্র আইনকে নিজেদের বগলে নিয়ে গেছেন।
বিদেশী শাসন মানে ইংরেজ শাসন আমলে ইংরেজরা একশ্রেণীর তথাকথিত শিক্ষিত মানুষ তৈরি করেছে যারা স্বাধীনতার চেয়ে পরাধীনতাকে পছন্দ করেন। কারণ এই মনোভাব তাঁদেরকে সমাজে সম্মানিত করেছে। ইংরেজদের সেই শিক্ষার প্রভাব এখনও শক্তিশালী ভাবে বিরাজমান ও ক্রিয়াশীল। বংগবন্ধু আন্তরিক ভাবেই বিশ্বাস করেছিলেন ভৌগলিক স্বাধীনতা এলেই সবকিছুর সমাধান হয়ে যাবে। তাঁর এ ভাবনা ভুল প্রমানিত হয়েছে। তিনি সোনার মানুষের কল্পনা করেছিলেন। সেই সোনার মানুষ এই বাংলাদেশে নাই এবং আসল সত্যিকারের মানুষ তৈরি হতে কত সময় লাগবে জানিনা। আল্লাহপাকের কাছে প্রার্থনা করছি আমাদের মুক্তির জন্যে তেমন মানুষ তৈরি করার জন্যে। বিশ্বের সকল দেশেই ভাল ত্যাগী মানুষকে প্রত্যাখান করেছে। কিছু দেশ রাস্ট্র বা সমাজ ভালমানুষকে গ্রহণ করেছে। বিশ্ববাসী জানে বাংলাদেশ একটি দূর্ণীতি প্রবণ দেশ বা রাস্ট্র। এদেশে গরীব ও পড়ালেখাহীন মানুষেরা সবচেয়ে বেশী শোষিত ও নির্যাতিত। গরীব সাধারন মানুষের কাছে রাস্ট্রের কোন গুরুত্ব নেই। রাস্ট্র যে কল্যাণকামী একটি প্রতিষ্ঠান তা গরীব সাধারন মানুষ করেনা। মধ্যবিত্ত মানুষ ঘুষ দিয়ে নিজেদের কাজগুলো করিয়ে নেয়। সরকারী সকল দফতরে ঘুষ একটি প্রধান পদ্ধতি যা দফতর গুলোকে চালু রেখেছে।
মাননীয় রাস্ট্রপতি, আপনি এমন একটি রাস্ট্র ব্যবস্থার অধীনে আছেন যেখানে রাস্ট্রপতি হিসাবে হা হুতাশ করা ছাড়া অন্য কোন উপায় আমাদের মহা পবিত্র সংবিধান দেয়নি। ভারতের রাস্ট্রপতি জ্ঞাণী জৈলসিং বলেছিলেন, ইন্দিরা গান্ধী চাইলে তিনি রাস্তায় ঝাড়ু দিবেন। রাস্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর অনুগত ও আস্থাভাজন থাকতে হয়। এরশাদ সাহেবের আমলে এক বামপন্থী শ্রমিকনেতা ও মন্ত্রী ঝাড়ু দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তার আগে তিনি বলেছিলেন,এরশাদের গদীতে লাথি মারি। তবুও মাননীয় হামিদ সাহেবকে অভিনন্দন জানাই তাঁর অনুভুতির জন্যে।
লেখক: কবি ও ঐতিহ্য গবেষক
ershadmz@gmail.com

Share this:

  • Twitter
  • Facebook

Like this:

Like Loading...

Related

Posted in Uncategorized |

  • Archives

    • May 2018 (1)
    • February 2016 (1)
    • January 2016 (2)
    • December 2015 (2)
    • November 2015 (1)
    • October 2015 (1)
    • September 2015 (1)
    • August 2015 (4)
    • July 2015 (1)
    • June 2015 (4)
    • May 2015 (3)
    • April 2015 (4)
    • March 2015 (5)
    • February 2015 (2)
    • January 2015 (1)
    • December 2014 (10)
    • November 2014 (4)
    • October 2014 (6)
    • September 2014 (6)
    • August 2014 (4)
    • July 2014 (3)
    • June 2014 (5)
    • May 2014 (5)
    • April 2014 (11)
    • March 2014 (21)
    • February 2014 (27)
    • January 2014 (11)
    • December 2013 (1)
    • November 2013 (5)
    • October 2013 (12)
    • September 2013 (10)
    • August 2013 (3)
    • July 2013 (8)
    • June 2013 (5)
    • May 2013 (4)
    • April 2013 (6)
    • March 2013 (7)
    • February 2013 (5)
    • January 2013 (5)
    • December 2012 (4)
    • November 2012 (3)
    • October 2012 (2)
    • September 2012 (4)
    • August 2012 (3)
    • July 2012 (4)
    • June 2012 (5)
    • May 2012 (7)
    • April 2012 (5)
    • March 2012 (5)
    • February 2012 (4)
    • January 2012 (7)
    • December 2011 (8)
    • November 2011 (1)
    • October 2011 (7)
    • September 2011 (4)
    • August 2011 (2)
    • July 2011 (4)
    • June 2011 (8)
    • May 2011 (9)
    • April 2011 (8)
    • March 2011 (5)
    • February 2011 (4)
    • January 2011 (4)
    • December 2010 (7)
    • November 2010 (2)
    • October 2010 (8)
    • September 2010 (5)
    • June 2010 (1)
    • May 2010 (1)
    • February 2010 (2)
    • June 2009 (5)
    • May 2009 (32)
  • Categories

    • Articles (119)
    • উপন্যাস (1)
    • English Articles (1)
    • Political Column (45)
      • Free Thoughts (19)
    • Uncategorized (232)
  • Pages

    • Who Am I ?

Blog at WordPress.com.

WPThemes.


Privacy & Cookies: This site uses cookies. By continuing to use this website, you agree to their use.
To find out more, including how to control cookies, see here: Cookie Policy
  • Follow Following
    • Writing From The Street ( রাস্তা থেকে বলছি )
    • Join 30 other followers
    • Already have a WordPress.com account? Log in now.
    • Writing From The Street ( রাস্তা থেকে বলছি )
    • Customize
    • Follow Following
    • Sign up
    • Log in
    • Copy shortlink
    • Report this content
    • View post in Reader
    • Manage subscriptions
    • Collapse this bar
%d bloggers like this: