• Home
  • Who Am I ?

Writing From The Street ( রাস্তা থেকে বলছি )

Just another WordPress.com weblog

Feeds:
Posts
Comments
« সকালবেলা ৯৫
নানা রূপের গণতন্ত্র নানা যুগে »

আওয়ামী লীগ বনাম বিএনপি

March 29, 2015 by writerershad


আওয়ামী লীগ বনাম বিএনপি / এরশাদ মজুমদার

সব দলই যদি একই হয় তাহলে বহুদল কেন? এক দল নিয়ে যদি রাজনীতি চলতো তাহলে বহু দলের ধারনার জন্ম হতোনা। এটা একটা এক ধরনের চিনতা বা ভাবনা। একে রাজনীতিকরা গণতন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন। এক সময়ে সবার ভোটাধিকার ছিলনা। এখন সবার ভোটাধিকার রয়েছে। এখনও গণতন্ত্রের চেয়ে ভাল কোন পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়নি। আমি এখন কোন দলীয় রাজনীতি করিনা। এক সময় ছাত্র ইউনিয়ন ও পরে ন্যাপ করেছি। আমি আমার চিন্তার জগতে কোন দলীয় বন্ধনে আবদ্ধ নই। দলীয় বন্ধনে চিন্তার স্বাধীনতা থাকেনা। দলীয় কর্মী বা নেতা উপনেতা থাকতে পারে। দলীয় চিন্তাবিদ থাকতে পারে কিনা থাকতে পারে কিনা জানিনা। দলীয় দর্শণ থাকতে পারে বা দলীয় দর্শণ থাকাও জরুরী। দলের দর্শণ যদি না থাকে সে দল টিকতে পারেনা। বাংলাদেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র চালু আছে, বহু দলীয় মত প্রকাশের জন্যে। কিন্তু বিএনপি বা আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যদলের সৃষ্টির কারণ তেমন সুস্পষ্ট নয়। তবে বহু দলের নামে বহু নেতার জন্ম হয়েছে। বি চৌধুরী সাহেব একটি দল করেছেন নিজের রাজনৈতিক অবস্থানকে রক্ষা করার জন্যে। এ রকম বহু নেতা আছেন নিজ অস্তিত্ব বা ব্যক্তিত্ব রক্ষার জন্যে দল করেছেন। যেমন, মেনন ও ইনু সাহেবের দুটি দলের তেমন কোন ভোট নেই। তাঁরা দুজনই নৌকায় চড়ে বেঁচে আছেন। অনেক রকম জাসদ আছে, কিন্তু কেন সে বিষয়ে হয়ত আপনাদের কোন ধারণা নেই। রাজনীতির ছাত্রদের যদি প্রশ্ন করা হয় তারাও কোন উত্তর দিতে পারবেন না। বাংলাদেশে কত দল আছে তা জানার জন্যে আপনাকে নির্বাচন কমিশনে যেতে হবে। কমিশন অনেক সময় রাজনৈতিক কারণে দল গঠণে সহযোগিতা করেন। যেমন বিএনএফ। গুলশানের সংসদ সদস্য বিনএফের নেতা ও প্রতিষ্ঠাতা। তাঁকে কেউ চিনেনা। জেনারেল মইনের সরকারের আমলে বিএনপিকে ভেংগে নতুন দল তৈরির চেষ্টা করেছিল কমিশন। আইউব খানের আমলে ডিসি সাহেবরা নির্বাচন করতেন।
আমি এর আগে বহুবার লিখেছি আওয়ামী মুসলীম লীগ বা আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে তত্‍কালীন মুসলীম লীগ নেতাদের ব্যর্থতার ফলে। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের আবেগ বা ন্যায় সংগত অধিকারকে অস্বীকার করার ফলে কালক্রমে পাকিস্তান ভেংগে যায় এবং স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়। কার্যত পাকিস্তানী সামরিক শাসকগণ বংগবন্ধুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল। ফলে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের একচ্ছত্র নেতায় পরিণত হন। তিনিই বাংগালী মুসলমানের আশা আকাংখার প্রতীকে পরিণত হন। তিনি চেয়েছিলেন আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে। তিনি বা পূর্ব বাংলার কোন নেতাই যুদ্ধ চান নি। পাকিস্তানী সামরিক জান্তা জোর করে বাংগালী মুসলমানদের যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে।
বংগবন্ধু সারা জীবন মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্রের জন্যে লড়াই করেছেন। ক্ষমতায় এসে তিনি গণতন্ত্র ও বহুমতকে সহ্য করতে পারছিলেন না। ফলে তিনি এক সময়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেন এবং সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দেন। সালাজারের দেশে এক সময়ে সকল মত ও পথ বন্ধ ছিল। বংগবন্ধু মনে করতেন তিনি দেশের কল্যাণ চান, তাহলে এত দল ও মতের কি প্রয়োজন? এক সময়ে তাঁর মর্মান্তিক পতন হয়েছে। আওয়ামী লীগের কোন নেতা সে সময়ে টু শব্দও করেননি। বরং কেউ তাঁকে গালাগাল দিয়েছেন। তাঁর পতনের পর ক্ষমতা চলে গেল দক্ষিণপন্থী আওয়ামী লীগ নেতা খোন্দকার মোশতাকের কাছে। তাঁর কেবিনেটের সকল মন্ত্রীই ছিলেন আওয়ামী লীগের। পরে ক্ষমতা গ্রহণ করেন সেনাপতি জিয়াউর রহমান। তিনি ছিলেন একজন সত্‍,ধর্মপ্রাণ মুসলমান। তিনিই নিষিদ্ধ দল গুলোকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিলেন। তিনি সকল ধরণের মত প্রকাশের পক্ষে ছিলেন। এক সময়ে তিনি বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন অনেক দল ও মতের সমন্বয়ে। এর ভিতরে সবচেয়ে বড় দল ছিল ন্যাপ। তখন ন্যাপের সভাপতি ছিলেন মশিউর রহমান যাদু মিয়া।
বংগবন্ধুর অনুপস্থিতে দিল্লী থেকে ফিরে এসে শেখ হাসিনা দলের হাল ধরলেন। তাঁর আগণের ক’দিন পরেই জিয়া সাহেব নিহত হন। অনেকেই মনে করেন ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা জিয়া সাহেবের মৃত্যুর জন্যৃ দায়ী। আপনাদের সকলকেই মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনা ৭৫ থেকে ৮০ সাল নাগাদ দিল্লীতে ভারত সরকারের মেহমান ছিলেন। সে সময়ে তিনি ভারতীয় চাণক্য দর্শনে দীক্ষা লাভ করেন। যা তিনি এখন সফল ভাবে প্রয়োগ করছেন। আওয়ামী লীগ এখন শুধুমাত্র একটি ব্যানার। এই দলে এখন হাসিনা ছাড়া আর কিছু নেই। হাসিনার দর্শণই দলের দর্শণ আর সরকারে দর্শণ। রাষ্ট্রও এখন হাসিনার দর্শণ অনুসরণ করছে। মোবারক, সুহার্তো, মার্কোস এ নীতি অনুসরণ করেই দেশ শাসন করেছেন। এ নীতি মূল দর্শণ হলো আমিই রাষ্ট্র, আমিই সরকার, আমিই দল। একমাত্র আমিই দেশকে স্বর্গ বানাতে পারি। এমন সিভিল ডিক্টেটরের সাথে বেশ কিছু পারিষদ ও তোষক থাকে। তারা দিনরাত নেতা বা লীডারকে খুশী রাখার জন্যে কথা বলে যায়। না বললে চাকুরী থাকেনা। এরা কেউ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়। ৫ই জানুয়ারী দেশে নির্বাচনের নাটক হয়েছে। এ নাটকের পরিচালক হলেন নেতা, প্রধানমন্ত্রী, সরকার ও রাষ্ট্র। ভোটারের সাথে এ ধরণের নির্বাচনে কোন সম্পর্ক থাকার প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, ভোট যা পাওয়ার পেয়েছি, যথেষ্ট পেয়েছি। এটা প্রধানমন্ত্রী বা নেতার দোষ নয়। তিনিতো সংবিধান মোতাবেক চলছেন। মানে তিনি আইন মেমে চলছেন। আমাদের সংবিধান বা নির্বাচনী বিধানে আছে,ভোট না পেলেও নির্বাচিত হওয়া যায়। যেমন ৫ই জানুয়ারীর জাতীয় নির্বাচন। সারা জাতি জানতে পেরেছে নির্চন কমিশন রাজী থাকলে ভোট না পেলেও নির্বাচিত হয়েছে সংসদ সদস্য হওয়া যায়। চলমান সংসদে অর্ধেরকের বেশী সদস্য নির্বাচিত নন। কেউ নির্বাচনে অংশ না নিলে কমিশন কি করবে? যাঁরা অংশ নিয়েছেন তারাই বিজয়ী। কমিশন হাসতে হাসতে এমন একটি আরাম দায়ক নির্বাচন জাতিকে উপহার দিয়েছেন। এমন নির্বাচনের সরকারকে দেশবাসী বা বিদেশবাসী কেউই মেনে নেয়নি। তাতে কি আসে যায়? মানা না মানার জন্যে সরকার গঠণ বা মন্ত্রী পরিষদ মনোনয়নে কোন বাধা নেই। জাতিসংঘ বা আমেরিকাতো বলেনি যে আমরা এমন সরকারের সাথে কাজ করবোনা। সংবিধানতো বলেনি যে, মোট ভোটের অর্ধেক না পেলে সরকার গঠণ করা যাবেনা। নির্বাচনী এলাকার অর্ধেক ভোট না পেলে কেউ সংসদ সদস্য হতে পারবেনা। এখনতো এক ভোট না পেলেও চলে। এখনতো মন্ত্রী পরিষদের প্রায় ৮০ ভাগই অনির্বাচিত। তবুই বলা হয় তাঁরা গণতান্ত্রিক নির্বাচিত প্রতিনিধি। এমন নির্বাচন বাংলাদেশে যুগের পর যুগ চলতে পারে। তাতে সংবিধান ক্ষুন্ন হবে। আমাদের মহান পবিত্র সংসদ শূদ্রকণ্যার মতো, ব্রাহ্মণ পুত্ররা শতবার ভোগ করলেও সতীত্ব নষ্ট হবেনা। আমাদের সংসদ সদস্যরা ব্রাহ্মণ এবং ব্রহ্মার বর পুত্র। তাই তাঁদের মহান সংসদের মাননীয় সদস্য বলতে হয়। কিন্তু যাঁরা ভোট দেন বা দেননা তাঁরা শুধুই জনসাধারন(ইতরজনা)। তাঁদের নামের আগে মাননীয় লেখা যাবেনা। আমাদের দেশে মহান সেনা বাহিনী, মহান সমসদ, মাননীয় বিচারপতি, মহামান্য আদালত, মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলতে হয়। বলতে হয় ইওর লর্ডশীপ। কারণ, বৃটেনে বিচারপতিদের লর্ড বলা হয়। আমার সুপারিশ হলো এখন থেকে মহান রেব বাহিনী, মহান বিজিবি বাহিনী, মহান পুলিশ বাহিনী ও মহান আনসার বাহিনী বলা হোক। জনসাধারনতো( কমনার্স বা ইতরজনা)। তাঁদেরতো মহান হওয়ার কোন সুযোগই নাই। সকল বাহিনীইতো রাষ্ট্র আর সরকারকে প্রাণ দিয়ে রক্ষা করছেন। এর মানে তাঁরা গণতন্ত্রকে রক্ষা করছেন। জনসাধারনের কাজ হচ্ছে সরকার মহান ও বাহিনীদের খাজনা দিয়ে লালন পালন করা। এটাই মহান সংবিধানের বিধান। যদি নিয়মিত খাজনা না দেন তাহলে সকল বাহিনী আপনাকে ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করতে পারে। সবকিছুই আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় জনগণ হচ্ছে প্রজা ও চুদুরভাই। এমন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমায় আছেন। তথাকথিত মন্দের ভাল গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ ভাল করে শিখেছে এবং অনুশীলন করে চলেছে। ৫৪ সালের নির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগকে আমরা দেখে আসছি। তখনতো বিএনপির জন্মও হয়নি। বলা হয় এদলটা নাকি সেনা্ছাউনিতে জন্ম গ্রহণ করেছে। যদিও ৪৯ সালে জমিদার বাড়ি রোজ গার্ডেনে উর্দূ ও ইংরেজী শব্দ মিলিয়ে আওয়ামী লীগ করা হয়েছে। তখনও আওয়ামী লীগ ষোলয়ানা বাংগালী হতে পারেনি। তখন যে কাগজটি আওয়ামী মুসলীম লীগ বা আওয়ামী লীগকে সমর্থন করতো তার নাম ছিল ইত্তেফাক( একতা বা ঐক্য)। মাওলানা ভাসানীর সীমাহীন অবদান রয়েছে ইত্তেফাক প্রতিষ্ঠায়। এক সময়ে ইত্তেফাকে ছাপা হতো প্রতিষ্ঠাতা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। মানিক মিয়া সাহেব প্রথমে ইত্তেফাকের ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত ছিলেন। তেমনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও ছিলেন ভাসানী সাহেব। আজ বংবন্ধুই সবকিছু। ইত্তেফাক ও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা লগ্নের ইতিহাস মুছে গেছে। ইত্তেফাক দিয়ে মানিক মিয়া সাহেবের পরিবার আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। একই ভাবে বংগবন্ধুর পরিবারও সকল দিক থেকে সুপ্রতিষ্ঠিত। বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আজ আওয়ামী লীগের একক মালিক। এটা একটি রাজনৈতিক পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী। পেপসি কোলার মতো এর ব্র্যান্ড হচ্ছে নৌকা। এই ব্র্যান্ডর এজেন্সী নিয়ে লাখ লাখ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছেন। আওয়ামী লীগ এখন একটি বিশ্বাসের নাম, শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, একটি জাতি। এই দলের দর্শন হচ্ছে ধর্মহীনতা( সেক্যুলারিজম), জাতীয়তা হচ্ছে বাংগালীত্ব( বাংলাদেশী নয়)। বিশ্বের সকল বাংলাভাষীকে বাংগালী মনে করে। তাঁদের এই অবস্থান বাংলাদেশের রাষ্ট্র স্বত্তা বিরোধী। ভারত ও তাই মনে করে। তাঁরা মনে করেন ভারতের বাংগালী আর বাংলাদেশের বাংলাদেশের বাংগালী একই জাতিস্বত্তা। পশ্চিম বাংলার কালচারকে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের কালচার মনে করে। হিন্দুদের যত ধর্মীয় সংস্কৃতি আছে তার কিছুকেই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সংস্কৃতি মনে করে। ইসলাম ও মুসলমানিত্বকে তাঁরা আরব দেশীয় কালচার মনে করেন। আওয়ামী লীগের কাছে মুসলমানিত্ব বা ইসলামের গুরুত্ব বাংগালীত্বের চেয়ে কম। সম্প্রতি হার্ভাডের শিক্ষক নোয়াহ ফেল্ডম্যান তাঁর এক গবেষণা পুস্তকে বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখে পড়েছে। সাথে সাথে পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থাও। সমাজতন্ত্র এর কাছে পরাজিত হয়েছে। কারণ চিন্তার সমাজতন্ত্র আর বাস্তবের সমাজতন্ত্র এক নয়। ভাবনার জগতে বুদ্ধিজীবীদের মগজে সমাজতন্ত্র আছে। গণতন্ত্র ও পুঁজিবাদ থেকে রেহাই বা মুক্তির পথ খুঁজছে জগতের নিপীড়িত মানুষ। তিনি বলেছেন যদি সুযোগ দেয়া হয় তাহলে একমাত্র ইসলাম এর মোকাবিলা করতে পারে। তিনি বলেছেন, মুক্ত অবাধ নির্বাচন হলে জগতের বহুদেশে ইসলামিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ও তেমন একটি দেশ। কিন্তু এখানে ইসলামকে নিন্দিত করে ফেলেছে আওয়ামী লীগ ও তাঁর বুদ্ধিজীবীরা। ভারতের বিখ্যাত লেখিকা অরুন্ধুতি রায় পুঁজিবাদকে ভৌতিক কাহিনী বলেছেন। পুঁজিবাদ কিভাবে মানুষকে শোষণ করে তার উপর বহু বই রয়েছে। পুঁজিবাদীরা ইসলামকে ভয় করে। বাংলাদেশেও রাষ্ট্র ইসলামকে ভয় করে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ মোট কাস্টেড ভোটের ৩০ থেকে ৪০ ভাগ পেয়ে থাকে। এর মানে ৬০ ভাগ ভোটার আওয়ামী লীগের সমর্থক নয়। কিন্তু তাঁরা বহু ভাগে বিভক্ত।
শুধু একবার ভাবুন জিয়া সাহেব যদি বিএনপির মতো একটি বড় রাজনৈতিক দল রেখে না যেতেন তাহলে আওয়ামী রাজনীতির মোকাবিলা করতো কে? বিএনপিও স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে মোট প্রদত্ত ভোটের ৪০ ভাগ পেয়ে থাকে। বিএনপি বাংলাদেশে ইসলামী জাতীয়তাবাদের সৃষ্টি করেছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগ ধর্মমুক্ত রাজনীতিতে বিশ্বাস করে যা ভারতও চায়। ফলে বিএনপি আওয়ামী লীগের বিকল্প রাজনীতির প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। যারা আওয়ামী রাজনীতির বিরোধী তাঁদর জন্যে বিএনপি একটা প্লাটফরম। আমি অন্তত এভাবেই দেখি। আমার চিন্তা অন্যদের কাছে ভুলও হতে পারে। মাত্র পঁয়ত্রিশ বছরের মধ্যেই বিএনপি এমন অবস্থানে পৌঁচেছে। একশ’ ভাগ ফেয়ার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ জানে বলেই ২০০৬ সাল থেকে নানা ষড়যন্ত্র ও টালবাহানা করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের এমন রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। তবুও বাংলাদেশের সাধারন ভারত বিরোধী তা ক্রিকেট মাধ্যমে প্রমানিত হয়েছে।

Share this:

  • Twitter
  • Facebook

Like this:

Like Loading...

Related

Posted in Uncategorized | 1 Comment

One Response

  1. on April 12, 2015 at 9:43 am anjalaplazzo

    আমরা এই সব রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে মুক্তি চাই। আমরা চাই সুষ্ঠ এক্টা দেশ। শান্তি আর সমৃদ্ধি চাই। get bdnews24 from here



Comments are closed.

  • Archives

    • May 2018 (1)
    • February 2016 (1)
    • January 2016 (2)
    • December 2015 (2)
    • November 2015 (1)
    • October 2015 (1)
    • September 2015 (1)
    • August 2015 (4)
    • July 2015 (1)
    • June 2015 (4)
    • May 2015 (3)
    • April 2015 (4)
    • March 2015 (5)
    • February 2015 (2)
    • January 2015 (1)
    • December 2014 (10)
    • November 2014 (4)
    • October 2014 (6)
    • September 2014 (6)
    • August 2014 (4)
    • July 2014 (3)
    • June 2014 (5)
    • May 2014 (5)
    • April 2014 (11)
    • March 2014 (21)
    • February 2014 (27)
    • January 2014 (11)
    • December 2013 (1)
    • November 2013 (5)
    • October 2013 (12)
    • September 2013 (10)
    • August 2013 (3)
    • July 2013 (8)
    • June 2013 (5)
    • May 2013 (4)
    • April 2013 (6)
    • March 2013 (7)
    • February 2013 (5)
    • January 2013 (5)
    • December 2012 (4)
    • November 2012 (3)
    • October 2012 (2)
    • September 2012 (4)
    • August 2012 (3)
    • July 2012 (4)
    • June 2012 (5)
    • May 2012 (7)
    • April 2012 (5)
    • March 2012 (5)
    • February 2012 (4)
    • January 2012 (7)
    • December 2011 (8)
    • November 2011 (1)
    • October 2011 (7)
    • September 2011 (4)
    • August 2011 (2)
    • July 2011 (4)
    • June 2011 (8)
    • May 2011 (9)
    • April 2011 (8)
    • March 2011 (5)
    • February 2011 (4)
    • January 2011 (4)
    • December 2010 (7)
    • November 2010 (2)
    • October 2010 (8)
    • September 2010 (5)
    • June 2010 (1)
    • May 2010 (1)
    • February 2010 (2)
    • June 2009 (5)
    • May 2009 (32)
  • Categories

    • Articles (119)
    • উপন্যাস (1)
    • English Articles (1)
    • Political Column (45)
      • Free Thoughts (19)
    • Uncategorized (232)
  • Pages

    • Who Am I ?

Create a free website or blog at WordPress.com.

WPThemes.


Privacy & Cookies: This site uses cookies. By continuing to use this website, you agree to their use.
To find out more, including how to control cookies, see here: Cookie Policy
  • Follow Following
    • Writing From The Street ( রাস্তা থেকে বলছি )
    • Join 30 other followers
    • Already have a WordPress.com account? Log in now.
    • Writing From The Street ( রাস্তা থেকে বলছি )
    • Customize
    • Follow Following
    • Sign up
    • Log in
    • Copy shortlink
    • Report this content
    • View post in Reader
    • Manage subscriptions
    • Collapse this bar
%d bloggers like this: