• Home
  • Who Am I ?

Writing From The Street ( রাস্তা থেকে বলছি )

Just another WordPress.com weblog

Feeds:
Posts
Comments
« শাহবাগের রাজনীতি ও তরুণ সমাজ
বিভেদের রাজনীতি ও বাংলাদেশের ভবিষ্যত »

শাহবাগের সরকার ও আওয়ামী রাজনীতি

February 17, 2013 by writerershad


আমরা দেখছি শাহবাগে তরুণদের একটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তরুণদের বুদ্ধি পরামর্শ দেয়ার জন্যে সেখানে নিয়োজিত আছেন কিছু পরিচিত চেহারা। তরুণদের সরকার চালানোর জন্যে চেনামুখ গুলো সামনে আসছেনা। শুরুতে শুনেছিলাম,তরুণরা শুধু যুদ্ধাপরাধিদের ফাঁসী চায়। এখন সকল রাজাকারের ফাঁসী চায়। এখন জামাত আর শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে চায়। সাথে ইসলামী অর্থনীতি বন্ধ করতে চায়। আবার শাহবাগ বলছে কিছু কাগজ, টিভি ও অনলাইন মিডিয়া বন্ধ করতে হবে। বিশ্ববাসী শাহবাগে একটি গণজাগরণ দেখলো যা সরকারের পক্ষে। সরকার চায় বাংলাদেশ থেকে ইসলাম উত্‍খাত করতে। শাহবাগও তাই চায়।
কেউ যদি দাবী তোলে ইহুদী,খৃষ্টান, হিন্দূ ও বৌদ্ধ অর্থনীতি বন্ধ করতে হবে।তখন কি হবে। ইহুদীদের সকল মিডিয়া বন্ধ করে দিতে হবে। পাকিস্তান আমলে বলেছি , অবাংগালীদের ব্যবসা বাণিজ্য দখল করে নিতে হবে। তাই পহেলা মার্চ থেকে ২৫শে মার্চ পর্যন্ত বহু অবাংগালী প্রতিষ্ঠান লুট হয়েছে। যারা লুট করেছে তারা এখন বাংলাদেশের ধনী। সমাজতান্ত্রিক কারণে অনেকেই অবাংগালীদের প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক নিযুক্ত হয়ে দুটো পয়সা কামিয়েছেন। সবাই এখন স্বাধীন বাংলাদেশের সম্মানিত সামাজিক ব্যক্তিত্ব।
এখন পাকিস্তান নাই,তাই তরুণদের সারল্যকে কাজে লাগিয়ে বলা হচ্ছে ইসলামিক ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ করে দাও এবং সরকার যেন ইসলামিক ব্যবসা গুলো দখল করে নেয়। তরুণদের ক’জন নেতা আবার নাস্তিক। তারা আল্লাহ, রাসুল(সা),কোরআনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে। সেই যুদ্ধকে সমর্থন দিয়েছে সরকার। আমরা ভাবতে পারিনা বংগবন্ধুর কন্যা ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এমন অবস্থান নিতে পারেন। আওয়ামী লীগ আসলে এ রকমই। দলই ধর্ম, দলই ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।
তরুণদের সরকারের সুবিধা হলো তারা শুধু শ্লোগান দিবে,আর সংগে সংগে সংসদে আইন পাশ হয়ে যাবে। ৭২ সালের দিকে চার খলিফার নাম শুনেছি। তারা যা নির্দেশ দিতেন তাই হতো। ১১ দফার সময়েও নেতারা অবাংগালী ফার্মের কাছ থেকে বন্ধুত্ব গ্রহণ করতেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বিভিন্ন হলে ডানপন্থী নেতাদের ধরে নিয়ে সম্মান করা হতো। সীমা অতিরিক্ত সেবা ও মেহমানদারীর ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে বিদায় নিয়েছেন। অনেকেই সুন্দরী মেয়েদের বিয়ে করেছেন। আমার শহরেও ৭২এ এমন ঘটনা ঘটেছে। একজন বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা এলাকায় ফিরে প্রথমেই তার মনের কন্যাটাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন

শাহবাগে নাকি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই যুদ্ধের নাকি প্রথম শহীদ নাস্তিক থাবাবাবা। মানে তিনি থাবা মারলে কেউ বাঁচবেনা দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের জেনারেল এই থাবাবাবা বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সালাম ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। জাতীয় পতাকায় ঢেকে থাবাবাবাকে মুক্তিযোদ্ধার সম্মান দেয়া হয়েছে। ২১ বার তোপধ্বনি হয়েছে কিনা জানিনা।
এ পর্যন্ত যা শুনে এসেছি বা জেনে এসেছি তাতে মনে হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ যারা করেনি বা দেখেনি তাদের জন্যেই নাকি শাহবাগের এই বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। আর তা হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। চেতনা শব্দটি চালু করেছে আওয়ামী লীগ ও সেই ঘরাণার বুদ্ধিজীবী ও গবেষকরা। এর মানে হলো আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। অথবা শুরু থেকেই আওয়ামী লীগে তেমন মুক্তিযোদ্ধা তেমন ছিলনা। চেতনা জিনিষটা কি তা আপনি স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন করতে পারেন। কেউ বলেন,আওয়ামী লীগকে সমর্থন করলেই আপনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ হতে পারেন। চেতনার এটা একটা ধাপ। অপর ধাপটি হলো আপনাকে ধর্মহীন হতে হবে। ইংরেজীতে যাকে বলা হয় সেক্যুলারিস্ট। মানে ধর্মের যার কোন আগ্রহ নেই। ধর্ম বাদ দিয়ে জীবন চালাতে চান। তৃতীয় ধাপ হলো রাস্ট্রকে ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে অথবা রাস্ট্রকে ধর্মহীন হতে সাহায্য করবেন।
বিষয়টা খুবই জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে বাংলাদেশে ধর্মহীন রাজনৈতিক চেতনার ধারক ও বাহক কারা? খোলা চোখে দেখছি ধর্মহীন চেতনার নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ,যে দলটির এক সময় নাম ছিল আওয়ামী মুসলীম লীগ। সভাপতি ছিলেন মাওলানা ভাসানী। আপনি প্রশ্ন করতে পারেন আওয়ামী লীগে কি তাহলে ধর্মপ্রাণ মানুষ নেই? আমি বলবো নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু তাঁরা মনে করেন ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয়। রাজনীতির সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। যেমন এক সময় চীন রাশিয়া এবং তাদের ভক্ত দেশ গুলো ধর্ম নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। যুক্তি ছিল ধর্ম মানুষকে অন্ধ করে দেয়। যুক্তিহীন করে দেয়। ধর্ম প্রগতির বিরুদ্ধে। অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই ওইসব দেশে মসজিদ ও গীর্জায় তালা লেগে গিয়েছিল। রাস্ট্রের ভয়ে বড়রা ধর্ম চর্চা ছেড়ে দিয়েছিলেন। নবীনরা ধর্মচর্চা একেবারেই ভুলে গিয়েছিল। চীন রাশিয়া আবার ধর্মের স্বাধীনতায় ফিরে গেছে। এখন সেখানে ধর্মচর্চা শুরু হয়েছে। রাস্ট্র ধর্মচর্চায় সহযোগিতা না করলেও বাধা দিচ্ছেনা। ইউরোপ আমেরিকায় ধর্মচর্চা বন্ধ হয়নি।
আওয়ামী লীগ জন্মের পর থেকে বলে আসছে কোরাণ ও সুন্নাহ বিরুদ্ধে কোন আইন করবেনা। কিন্তু রাজনৈতিক দল ও সংগঠণ হিসাবে বর্তমান আওয়ামী লীগের ঝোঁক ধর্মহীনতার দিকে। আওয়ামী লীগ এক বিস্ময়কর রাজনৈতিক দল। রাস্ট্রধর্ম ইসলাম মানে, আবার সেক্যুলারিজম বা ধর্মহীনতাও চায়। ধনবাদী গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা চায়, আবার সমাজতন্ত্রও চায়। আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাওয়ার্দী সাহেব বলেছিলেন,পূর্ব পাকিস্তান বা পূর্ব বাংলা ৯৮ ভাগ স্বায়ত্ব শাসন পেয়ে গেছে। বংগবন্ধু সোহরাওয়ার্দী সাহেবের ওই বক্তব্য সমর্থন করেছিলেন। স্বাধীন নিরপেক্ষ পররাস্ট্র নীতির প্রবক্তা ছিলেন মাওলানা ভাসানী। দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক মানিক মিয়া সাহেব মাওলানা সাহেবকে লাল মাওলানা বলে গালি দিতেন। এক সময়ে সোহরাওয়ার্দী সাহেব ও বংগবন্ধু মিলে মাওলানা সাহেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বের করে দিয়েছিলেন। সর্বদলীয় রাস্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছিলেন মাওলানা ভাসানী। শেখ সাহেব ছিলেন জেলে। তিনি জেল থেকেই রাস্ট্রভাষার আন্দোলনকে সমর্থন দিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে আপনারা অলি আহাদ সাহেব ও বদরুদ্দিন ওমর সাহেবের বই পড়তে পারেন। এক কথায় বলা যেতে পারে পূর্ব পাকিস্তান ও বাংলাদেশের যত আন্দোলন হয়েছে শুরুতে আওয়ামী লীগ এর বিরোধিতা করে দলীয় চরিত্রের কারণে। পরে গোয়েবলসীয় কায়দায় ঢোল বাজাতে থাকে তারাই আন্দোলনটা করেছে।
পূর্ব বাংলার স্বায়ত্ব শাসনের দাবী সর্ব মহলে গৃহীত হলে শেখ সাহেব ছয় দফা দিয়ে বাজার গরম করলেন। শেখ সাহেবের চরিত্র ছিল তিনি সকল অবস্থায় জনপ্রিয় থাকতে চাইতেন। যেমন জয়বাংলা শ্লোগানটা জয় হিন্দের পরিবর্তে। প্রথমে তিনি এই শ্লোগান দিতে চান নি। সিরাজুল আলম খানেরা ওই শ্লোগান তাঁর মুখে তুলে দিয়েছে। মানচিত্র খচিত বাংলাদেশের পতাকা তিনি হাতে নিতে চাননি, আসম আবদুর রব তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন। এর পরেও তিনি ৭ই মার্চের ভাষণের্ শেষে বলেছিলেন, জয়বাংলা ও পাকিস্তান জিন্দাবাদ। আমি মাঠে ছিলাম, নিজকানে শুনেছি। এমন কি সর্বশেষ মূহুর্তে, মানে ২৫শে মার্চ রাত এগারটায় তাজউদ্দিন সাহেব লিখে টেপ রেকর্ডার সহ বংগবন্ধুর ৩২ নম্বরের বাড়িতে গিয়েছিলেন স্বাধীনতার ঘোষণা রেকর্ড করতে। তিনি রাজী হননি। বরং বলেছেন,তোরা আমাকে রাস্ট্রদ্রোহী বানাতে চাস। পাকিস্তানের আদালতেও তিনি বলেছেন, তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা দেননি।ড.ওয়াজেদ তাঁর বইতে বলেছেন,রাত ১২টা পর্যন্তও বংগবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। এখন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতার চ্যাম্পিয়ন। শুধু আওয়ামী লীগই স্বাধীনতার আন্দোলন করেছে। আর কেউ কিছু করেনি। সাজেদা চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ থাকতে পারবেনা। অন্য কেউ যদি এদেশে থাকতে চায় তাহলে আওয়ামী লীগ হয়ে থাকতে হবে। কল্পনা করুন, জামাতে ইসলাম যদি আগামী কাল নাম পরিবর্তন করে বলে আমরা হলাম আওয়ামী জামাতে ইসলাম। তাহলে কি হবে? তখন বংগবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ওয়াজেদ বলবেন, জামাতের ভিতর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এসে গেছে।
মিশরের ফোরাউন তার দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলতো, হে আমার দেশবাসী, মুসা নবুয়তের দাবী করে। সে একজন গরীব অযোগ্য মানুষ। সে দাবী করে আল্লাহর নবী। আমিইতো খোদা। তোমাদের কি আর খোদা আছে? জনগণ ভয়ে বলতো, না আমাদের খোদা তুমিই। আমি প্রাণ দিতে পারি, নিতেও পারি। মুসার আল্লাহ কি পারে? প্রাণ ভয়ে জন সাধারন বলতো , না পরেনা। আমি খাওয়া বন্ধ করে দিলে তোমরা কি খেতে পারবে? না পারবো না। তাহলে স্বীকার করো, আমিই তোমাদের খোদা। চলমান সরকারের সংসদে দুই তৃতীয়াংশ সিট আছে। তাই ষখন তখন আইন বানাচ্ছে। শাহবাগে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আছে। সাথে যোগ হয়েছে সংসদের চেতনা। ব্যস আর যায় কৈ? মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে যেমন ইচ্ছা তেমন আইন তৈরী হচ্ছে। কিছু লোককে ফাঁসী দিতে হবে , কিছু রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। রাস্তা বলবে অমুকের ফাঁসী চাই,সংগে সংগে সংসদে আইন পাশ হয়ে যাবে।
৭১ সালে অশিক্ষিত পাকিস্তানী মিলিশিয়ারা রাস্তায় লোকজনকে ধরে জিজ্ঞাসা করতো,তুম মুসলমান হ্যায়? লোকজন দলবেধে বলতো,হাঁ মুসলমান হ্যায়। সবুদ ক্যায়া হ্যায়? কালেমা বললে অনেককে ছেড়ে দিতো। আবার সময় কাপড় খুলে দেখতো। সে সময় আবার এসে গেছে মনে হয়। আওয়ামী লীগ ও তার সরকারী বাহিনী রাস্তাঘাটে জানতে চাইবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আছে কিনা। জয় বাংলা বা জয় বংগবন্ধু বলে চেতনার প্রমান দিতে হবে। কাপড় তুলে দেখাতে হবে আপনি সেক্যুলার কিনা? আওয়ামী রাজনীতির মূলমন্ত্র হলো গোত্র বা কৌম প্রীতি। নিজেরা যা ভাবে তাই অকাট্য সত্য। ভীড় দেখলেই আওয়ামী লীগ সেখানে ঝাপিয়ে পড়ে, মবোক্রেসিতে বিশ্বাস করে। এই দেখুন না, থাবাবাবা ছদ্ধ নামের এক তরুন নাস্তিক খুন হয়েছে। কোন কিছুর খোঁজ খবর না নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দৌড়ে চলে গেলেন তাঁর বাড়িতে সমবেদনা জানাবার জন্যে। সংসদে সবাই হৈ হৈ করে বলে উঠলেন নাস্তিক থাবাবাবা শহীদ হয়েছে। শহীদ শব্দটা কি তা আওয়ামী জানেনা। এখন হিন্দুরাও এই শব্দ ব্যবহার করতে শুরু করেছে। থাবাবাবা কোরআন, রাসুল(সা) ও আল্লাহপাকের বিরুদ্ধে যা লিখেছে তা এ পর্যন্ত দেশে বিদেশে অন্য ধর্মের লোকেরাও লিখেনি। থাবাবাবা স্বঘোষিত একজন ধর্মহীন ব্লগার। তারপরেও আওয়ামী লীগ তাকে বীর শহীদ খেতাব বা তগমা দেয়ার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছে। সংসদে আইনমন্ত্রী বলেছেন,থাবাবাবা খুব ভাল একটা ছেলে। সে ধর্মহীন কোন কাজ করতে পারেনা।
আমি এর আগে আমার লেখায় শাহবাগের অবুঝ মহা উদ্দীপ্ত তারুণ্যের প্রতি সম্মান জানিয়েছি। তরুণরা কারো দ্বারা ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে তাও বলেছি। সরকার ও আওয়ামী লীগ মা বাবা, মুরুব্বী, অভিবাবক ও শিক্ষকের দায়িত্ব পালন না করে তাদের উসকিয়ে দিয়েছে নিজেদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যে। প্রধানমন্ত্রী তরুণদের মা বাবার উত্‍কন্ঠা অনুভব করতে পারেননি। কারণ, তাঁর সন্তানেরা কেউই বাংলাদেশে থাকেনা, দেশে লেখাপড়াও করেনি। আমি বেশ ক’জন মা বাবা ও মুরুব্বীর সাথে আলাপ করেছি। তাঁরা অতীব দু:খের সাথে বলেছেন ছেলে মেয়েরা আগের জামানার মতো মা বাবার শোনেনা। তারা পড়ালেখা না করেই জাতীয় বীর হতে চায়। তারা নাকি আগামী দিনের রাস্ট্র নায়ক হবে। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের নায়ক ও শহীদ হবে। শহীদ হলে জাতীয় পতাকা ও স্যেলুট দিয়ে দাফন করা হবে। তারা জানাজা চায়, দাফন হতে চায়,আবার নাস্তিকও হতে চায়।
আদালতের একজন বিচারক একটি দৈনিক পত্রিকার খবর ফটোকপি করে বিচারকদের ভিতর বিলি করেছেন সেজন্যে তাঁর শাস্তি দাবী করেছেন আওয়ামী নেতারা। বিচারপতিদের সব সময়ই আওয়ামী লীগ নানাভাবে হেনস্থা করে। আদালত আক্রমন করে। আদালত এলাকায় মেথরদের নিয়ে হাজির করে। কি অপরাধ বিচারপতি মিজানের তা দেশবাসী জানতে চায়। বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সাহেব কাগজ দেখে নিজেই উদ্যোগ নিয়ে বিচারের ব্যবস্থা করেন। তখন তিনি কোন অপরাধ করেন না। কারণ তিনি নাকি আওয়ামী লীগ করেন। তাঁর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আছে। তাঁকে নিয়ে মাঝে মাঝে সংসদও গরম হয়ে উঠে। কিন্তু তাঁর কোন অপরাধ হয়না। বিচারপতি একটি কাগজের ফটোকপি করে কয়েকজন বিচারপতি দিয়েছেন তাই তাঁর অপরাধের শেষ নাই। সমস্যা হচ্ছে ভদ্রলোক বিএনপি আমলে বিচারপতি হয়েছেন।
লেখক: কবি ও ঐতিহ্য গবেষক
ershadmz40@yahoo.com

Share this:

  • Twitter
  • Facebook

Like this:

Like Loading...

Related

Posted in Uncategorized |

  • Archives

    • May 2018 (1)
    • February 2016 (1)
    • January 2016 (2)
    • December 2015 (2)
    • November 2015 (1)
    • October 2015 (1)
    • September 2015 (1)
    • August 2015 (4)
    • July 2015 (1)
    • June 2015 (4)
    • May 2015 (3)
    • April 2015 (4)
    • March 2015 (5)
    • February 2015 (2)
    • January 2015 (1)
    • December 2014 (10)
    • November 2014 (4)
    • October 2014 (6)
    • September 2014 (6)
    • August 2014 (4)
    • July 2014 (3)
    • June 2014 (5)
    • May 2014 (5)
    • April 2014 (11)
    • March 2014 (21)
    • February 2014 (27)
    • January 2014 (11)
    • December 2013 (1)
    • November 2013 (5)
    • October 2013 (12)
    • September 2013 (10)
    • August 2013 (3)
    • July 2013 (8)
    • June 2013 (5)
    • May 2013 (4)
    • April 2013 (6)
    • March 2013 (7)
    • February 2013 (5)
    • January 2013 (5)
    • December 2012 (4)
    • November 2012 (3)
    • October 2012 (2)
    • September 2012 (4)
    • August 2012 (3)
    • July 2012 (4)
    • June 2012 (5)
    • May 2012 (7)
    • April 2012 (5)
    • March 2012 (5)
    • February 2012 (4)
    • January 2012 (7)
    • December 2011 (8)
    • November 2011 (1)
    • October 2011 (7)
    • September 2011 (4)
    • August 2011 (2)
    • July 2011 (4)
    • June 2011 (8)
    • May 2011 (9)
    • April 2011 (8)
    • March 2011 (5)
    • February 2011 (4)
    • January 2011 (4)
    • December 2010 (7)
    • November 2010 (2)
    • October 2010 (8)
    • September 2010 (5)
    • June 2010 (1)
    • May 2010 (1)
    • February 2010 (2)
    • June 2009 (5)
    • May 2009 (32)
  • Categories

    • Articles (119)
    • উপন্যাস (1)
    • English Articles (1)
    • Political Column (45)
      • Free Thoughts (19)
    • Uncategorized (232)
  • Pages

    • Who Am I ?

Create a free website or blog at WordPress.com.

WPThemes.


Privacy & Cookies: This site uses cookies. By continuing to use this website, you agree to their use.
To find out more, including how to control cookies, see here: Cookie Policy
  • Follow Following
    • Writing From The Street ( রাস্তা থেকে বলছি )
    • Join 30 other followers
    • Already have a WordPress.com account? Log in now.
    • Writing From The Street ( রাস্তা থেকে বলছি )
    • Customize
    • Follow Following
    • Sign up
    • Log in
    • Copy shortlink
    • Report this content
    • View post in Reader
    • Manage subscriptions
    • Collapse this bar
%d bloggers like this: