• Home
  • Who Am I ?

Writing From The Street ( রাস্তা থেকে বলছি )

Just another WordPress.com weblog

Feeds:
Posts
Comments
« নারী নীতি ও সরকারের মিথ্যাচার
বাংলাদেশে জংগীবাদ ও সন্ত্রাস »

ফতোয়ার আইনগত ভিত্তি ও আদালত

April 5, 2011 by writerershad


ফতোয়া নিয়ে বাংলাদেশে ফতোয়াবাজির আর শেষ নেই। বিচারপতি বড় বড় আইনজীবীরাও ফতোয়া নিয়ে ফতোয়া দিচ্ছেন। যদিও তাদের কারোই ফতোয়া দেয়ার যোগ্যতা বা অধিকার নেই। যেমন নেই সামান্য আরবী শিক্ষিত কোন মোল্লা মৌলবী বা হুজুরের। অশিক্ষিত কিছু লোকের ভুয়া ফতোয়ায় ইতোমধ্যেই বেশ কিছু নারী প্রাণ হারিয়েছেন বা লান্ছিত হয়েছেন। অশিক্ষিত বা কম শিক্ষিত হুজুরের ফতোয়ার সাথে গ্রামের টাউট বাটপার চেয়ারম্যান মেম্বারও জড়িত। এই বাটপারদের সহযোগিতা না পেলে তথাকথিত হুজুর নৃশংস অবৈধ ফতোয়া দিতে পারেনা। কিন্তু অবৈধ ফতোয়ার ঘটনা ঘটেই চলেছে। দেশের প্রচলিত আইনে এসব অবৈধ ফতোয়া দানকারী ও এর সহযোগীদের কঠের শাস্তি দিতে পারে। পুলিশ সাথে সাথে ঘটনা আমলে নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আটক করতে পারে।কিন্তু পুলিশ তা করেনা। বরং উল্টো গ্রাম্য মাতবরদের সাথে হাত মিলিয়ে দূর্বলদের বিরুদ্ধে লেগে যায়। এটা হলো চলমান সমাজচিত্র। রাস্ট্র বা আইন এ ব্যাপারে দায়িত্ব পালন করেনা।

অশিক্ষিত লোকদের ফতোয়াবাজির সুযোগে কিছু বিচারপতি ও ডাকসাইটে আইনজীবী ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংগ ফতোয়া ব্যবস্থা বন্ধ করার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছে। শুরুতেই বলেছি, যে সকল বড় বড় আইনজীবী ফতোয়া ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লেগেছেন তাদের কারোই ওই রকম মতামত দেয়ার আইনগত অধিকার নেই। কারণ তারা কোরাণ ইসলাম বা ফতোয়া সম্পর্কে কোন ধরণের জ্ঞান রাখেন না। কারন বাংলাদেশের আইনী ব্যবস্থায় তাদের ইসলাম কোরাণ ও ফতোয়া সম্পর্কে না জানলেও চলে। এমন কি বিচারকদেরও কোরাণের আইন না জানলে চলে। বাংলাদেশে রাস্ট্র পরিচালনার জন্যে  কোন পর্যায়ে কোরাণের জ্ঞান প্রয়োজন হয়না। মা বাপের কবর জেয়ারত করতেও বড় বড় সাহেবদের হুজুরদের দ্বারস্থ হতে হয়। ইদানিং ছেলে মেয়েদের ধর্মের প্রাথমিক জ্ঞানদান করার প্রয়োজনও মা বাপ অনুভব করেন না। অথচ এই দেশের ৮৫ ভাগ মানুষ মুসলমান। মুসলমানদের জীবনের অনেকাংশ জুড়ে আছে কোরাণিক আইন। যারা বুক ফুলিয়ে বলেন ‘ আমরা ধর্ম পালন করিনা, তাদেরও পারিবারিক জীবনে অনেক ধর্মীয় আচার মানতে হয়। এমন কি সিপিবির ফরহাদ সাহেবকে বলে যেতে হয়েছে,মারা গেলে তাঁকে যেন মুসলমানের রীতিতে দাফন করা হয়। নামাজ রোজা করেন না, নিজেকে স্যেকুলার বলে জাহির করতে গৌরব বোধ করেন  এমন মানুষকেও বহু ইসলামিক আইন মেনে চলতে হয়। যেমন ছেলে মেয়ের বিয়ের সময় কাজী বা ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে যেতে হয়। কোর্ট বা সিভিল ম্যারেজে কাবিন মোহর খোরপোষ অধিকার ইত্যাদির বালাই নাই। এমন কি মুসলমান নামধারী ব্যক্তিকেও সামাজিক কারণে ইসলামের অনেক রীতি মানতে হয়।

যেকোন মুসলমান সমাজে ফতোয়ার অপরিহার্য প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ফতোয়া ছাড়া ইসলামিক সমাজ চলতে পারেনা।ফতোয়া হচ্ছে এক ধরনের লিগ্যাল ওপিনিয়ন বা আইনি মতামত বা পরামর্শ। যিনি ইসলামিক আইন সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন তিনিই একমাত্র ফতোয়া দিতে পারেন। এজন্যে তাঁকে ফকী্হ বা খতীব হতে হয়। সাধারন আদালত বা বৃটিশ আইনে পরিচালিত আদালতের মামলার জন্যে সনদধারী উকিলের পরামর্শ নিতে হয়। আমাদের দেশে শরীয়া আদালত নেই। শরীয়া সম্পর্কিত বিষয়ও নিস্পন্ন করেন সাধারন আদালত। সেজন্যেই মাঝে মাঝে জটিলতার সৃস্টি হয়। অনেক বিচারপতি শরীয়া আইন না জেনে ভুল রায় দিয়ে সমাজে বিশৃংখলা সৃস্টি করেছেন। পরে সম্মানিত ফকীহরাই সমস্যার সমাধান করেছেন। বাংলাদেশে বহু উচ্চ জ্ঞান সম্পন্ন ফকীহ আছেন। সম্মানিত ফকীহদের নিয়ে বহু আগেই সরকারের উচিত ছিল শরীয়া কাউন্সিল বা ফকাহ কাউন্সিল গঠন করা। তাহলে এসব জটিলতা দেখা দিতোনা। আমাদের সরকার গুলো এক ধরনের জ্ঞানপাপী স্যেকুলার ও প্রগতিশীলতার দাবীদার ব্যক্তিদের দ্বারা প্রভাবান্বিত। ফলে ধর্ম ও ইসলাম নিয়ে সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃস্টি হয়। যেমন চলমান নারীনীতি নিয়ে সৃস্ট জটিলতা। এখানে সরাকারের এক ঘুয়েমি বা ইগো কাজ করছে। নারীনীতিতে ইসলাম বা কোরাণ বিরোধী কিছু আছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব দেশের আলেম সমাজের। নারীনীতি পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্যে বহু আগেই আলেমদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা উচিত ছিল।

আল্লা্হপাক কালামে পাকের ১৬ নম্বর সুরা আন নাহল এর ৪৩ নম্বর আয়াতে সুস্পস্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ তোমরা না জানলে তোমাদের জ্ঞানীদের জিজ্ঞাসা কর’। এখানে জ্ঞানী বলতে ফকিহ বা মুফতীদের কথা বলা হয়েছে। ফকিহ বা মুফতীরাই মুসলমান সমাজে ইসলামের আইনী ব্যাখ্যা দিবেন। আমাদের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিগণও প্রয়োজনে ফকিহদের পরামর্শ গ্রহন করে থাকেন। কারণ বিচারপতিগণ কোরাণের আইনী ব্যাখ্যা দিবার অধিকার রাখেন না। পরামর্শের জন্যেই আদালত অনেক সময় এমিকাস কিউরি নিয়োগ করে থাকেন। এমিকাস কিউরি হাচ্ছেন আদালতের বন্ধু। বৃটিশ বা অনৈসলামিক আইনের বিশেষজ্ঞরা যেমন এমিকাস কিউরি হিসাবে কাজ করেন তেমনি ফকিহরাও ইসলামী আইনের বিশেষজ্ঞ। ফকি্দের অবহেলা বা ইগনোর করার অধিকার কারো নেই। আল্লাহর রাসুল(সা) বলেছেন, তোমরা একটি আয়াত হলেও মানূষের কাছে পৌঁছে দিও বা জানিয়ে দিও। রাসুলের(সা) কাছে  সাহাবীরা  বিভিন্ন আয়াতের ব্যাখ্যা বা ফতোয়া চেয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন করতেন। এমন কি সাধারন উম্মী জন সাধারনও আসতেন রাসুলের(সা) কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানার জন্যে। তিনি খুবই মনোযোগ দিয়ে তাঁদের কথা শুনতেন এবং দরদ দিয়ে সকল প্রশ্নের উত্তর দিতেন। না জানলে জ্ঞানীদের কাছ থেকে জেনে নেয়া ফরজ। কারণ আল্লাতায়ালা অজ্ঞানতার অন্ধকারকে পছন্দ করেন না। শুধু জ্ঞানীদের কাছে নয় প্রয়োজনবোধে সূদুর চীন যাওয়ার জন্যেও রাসুল(সা) তাগিদ দিয়েছেন। মহান আল্লাহপাক নিজেও ফতোয়া দিয়েছেন।সুরা নিসার ১৭৬ আয়াতে আল্লাহপাক বলেন, লোকেরা ওয়ারিশহীন( মা বাবা পুত্র কন্যা) মৃত ব্যক্তির (কালালাহ) ফেলে যাওয়া সম্পদ সম্পর্কে জানতে চায় বা ফতোয়া/সিদ্ধান্ত চায়। আপনি বলে দিন ওই সম্পদ ভাই ও বোনদের মধ্যে বন্টন হবে। সুরা নিসার ১২৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহপাক বলেন, নারী ও এতিম কন্যা শিশুদের ব্যাপারে লোকেরা আপনার সিদ্ধান্ত ( ফতোয়া ) চায়, আপনি বলে দিন এই ব্যাপারে আল্লাহপাকের বিধান এইরূপ। চলমান নিবন্ধে আমরা ফতোয়া নিয়ে আলোচনা করছি। ওয়ারিশয়ানা বা সম্পদ বন্টন নিয়ে আলোনা করছিনা। তাই বন্টন বিষয়ে বিশদ বলা হচ্ছেনা।

বাংলাদেশ একটি মুসলমান প্রধান দেশ। কিন্তু রাস্ট্র এবং সরকার ইসলামী আইন দ্বারা পরিচালিত নয়। যদি তা হতো তাহলে শরীয়া আইন বা ফতোয়া নিয়ে এতকথা বলার অবকাশ থাকতোনা। যেহেতু এদেশে ৮৫ ভাগ মানুষ মুসলমান সেহেতু এখানে সরকার ইচ্ছা করলেই কোরাণ ও  হাদিসের বিরুদ্ধে কোন আইন করতে পারবেনা। তবে সরকার জনগণকে ধোকা দেয়ার চেস্টা করতে পারবে। এ ধরনের চেস্টা অথীতের অনেক সরকার চেস্টা করেছে, কিন্তু কোন লাভ হয়নি। ফতোয়ার মূল সুত্র হলো কোরাণ হাদিস ইজমা কিয়াস ও ফকিহ বা ইসলামী আইন বিশেষজ্ঞদের সম্মিলিত মতামত ও সিদ্ধান্ত। সুতরাং বন্ধ করার কোন অধিকার বাংলাদেশের কোন আদালতের নেই। এমন কি জাতীয় সংসদও তা পারবে না। এমন কি বৃটিশ সাসনের ১৯০ বছরেও ইসলামী আইন বা ফতোয়ার কোন পরিবর্তন হয়নি। খস্টধর্মে বিশ্বাসী ইরেজরা তা করতে চায়নি।

আমাদের দেশে বা পৃথিবীর বহুদেশে আইনের প্রাচীন সূত্র হচ্ছে রোমান শাসকদের আইন। রোমানরা ছিলেন পৌত্যলিক বা প্যাগান। তাদের আইনের কোন ধর্মীয় সূত্র ছিলনা। কিন্তু ইসলামী আইনের মূলসুত্র হচ্ছে আল্লাহপাকের বাণী ও রাসুলের(সা) হাদিস। কোরাণ ও হাদিসের আলোকে ইমাম এবং ফকীহগণ উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সমস্যার সমাধানে ফতোয়া দিয়েছেন। সেই ফতোয়া দানের বিধি এখনও জারী আছে। আধুনিক আইন বলতে যা বুঝায় তা হলো পশ্চিমী ধ্যান ধারনায় রচিত ধর্ম নিরপেক্ষ আইন। ইসলামী আইন হচ্ছে বিশ্ব মুসলিমের জীবন যাত্রার আইন। এই আইনের রাস্ট্রীয় কোন সীমাবদ্ধতা নেই। ইসতিহাদ ইসলামি আইনের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইসলামী আইনের গবেষনায় ইসতিহাদ একটি নতুন মাত্রার সংযোজন করেছে। ইসলামী আইনের বিশষজ্ঞ ও জ্ঞানীরা ইসতিহাদের মাধ্যমে মানব কল্যাণে নতুন দিক নির্দেশনা দিতে পারেন। কারন আল্লাহপাক মানব কল্যান ও মানব জাতির উন্নতির জন্যেই এ জগতে ইসলামকে প্রেরণ করেছেন মহানবী হজরত মোহাম্মদের(সা) মাধ্যমে। ইসলাম কোন স্থবির ধারনা নয়। ইসলামে গবেষণার সকল দুয়ার খোলা। এই কারণেই ইসলাম জগতে সবচেয়ে উদার ও প্রগতিশীল ধর্ম। ইসলামে কোন ধরণের গোঁড়ামী সুযোগ নেই। মুক্তমন নিয়ে ভাবলে দেখা যাবে ইসলামের সাথে বিজ্ঞান দর্শন ও আধুনিক চিন্তাধারার কোন বিবাদ বা দ্বন্ধ নেই। পশ্চিমের তথাকথিত মানুষেরা স্বাভাবিক জীবন বিধির বাইরে চলে গেছে। নারী স্বাধীনতার নামে তারা মা বোন স্ত্রীকে বাজারের পণ্যে পরিণত করেছে। পশ্চিমের নেতারা ইসলামকে ভয় করে। তারা জানে একদিন এ পৃথিবীতে ইসলামই হবে মানব জাতির মুক্তির একমাত্র পথ। তাই তারা শয়তানের দোসরে পরিণত হয়েছে। এবং চারিদিক থেকে ইসলামকে আঘাত করা শুরু করেছে। ৯/১১র টুইন টাওয়ারের ঘটনা ছিল একটি পরিকল্পিত নাশকতা। যার মাধ্যমে শুরু হয় ইসলামের বিরুদ্ধে নব ক্রুশেড। ইতোমধ্যেই পশ্চিমের কোন কোন নেতা মুখ ফসকে মনের কথা বলে ফেলেছেন নতুন ক্রুশেডের কথা। প্রথম ক্রুশেড স্থায়ী হয়েছিল দুশো বছর। তারা নয়া ক্রুশেডকেও দুশো বছর স্থায়ী করতে চায়।

ইসলামই জগতের মানুষকে সর্বপ্রথম আত্মার সার্বভৌমত্বের কথা শুনিয়েছে। ইসলামের মহান ঘোষণা হচ্ছে জগতে মানুষ কারো কাছে মাথা নত করবেনা। মিরাজের মাধ্যমে ইসলাম জানিয়েছে, মানুষ পরম জ্ঞানের মাধ্যমে জগতের সীমানা অতিক্রম করে স্রস্টার কাছে পৌঁছাতে পারে। ইসলামে জ্ঞানের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশী। জ্ঞান চর্চা মানুষের জন্যে ফরজ বা অবশ্য কর্তব্য বলে ঘোষনা করা হয়েছে। জ্ঞান না থাকলে মানুষ নিজেকেও চিনবেনা আর তার নিজের স্রস্টাকেও চিনবেনা। আড়াই হাজার বছর আগে মহামতি সক্রেটিস বলেছেন,‘ নো দাইসেল্ফ’। দেড় হাজার বছর আগে আল্লাহর রাসুল(সা) বলেছেন,‘ মান আরাফা নফসা,ফাকাদ আরাফা রাব্বা’। যে মানুষ নিজেকে চিনতে পেরেছে তার কাছেই জ্ঞানের দরজা খুলে গেছে। সৃস্টি নিয়ে গবেষণা করাও মানুষের জন্যে অবশ্য কর্তব্য করা হয়েছে। পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী ড: সালাম বলেছেন, কোরাণ থেকেই তিনি তাঁর গবেষণার সকল উপাদান ও উপাত্ত পেয়েছেন। সাত আসমান ও সাত সাগর সবই মানুষের গবেষণার বিষয়।সমস্ত সৃস্টি ও মহাজগত আল্লা্হপাক সৃস্টি করেছেন মানুষের খেদমতের জন্যে। মানুষকে অবশ্যই  সৃস্টির রহস্য জানার অধিকার আল্লাহপাক দিয়েছেন। ইসলামের প্রথম ৬শ’ বছর ছিল জ্ঞান চর্চার সোনালী সময়। আল্লার রাসুল(সা) বলেছেন, তোমরা যতদিন পবিত্র মহাগ্রন্থ আলকোরাণ ও আমার সুন্নাহকে বুকে ধারন করবে ততদিন এই জগতের ইমামতি তোমাদের হাতে থাকবে। এরপর মুসলমানরা ইসলাম থেকে সরে গেছে। তারা হয়ে পড়েছে নামে মুসলমান। তারা হয়ে গেছে রোমানদের মতো শান শওকত ওয়ালা বাদশাহ ও শাহেনশাহ। দুনিয়ার বাদশাহী মহান আল্লাহপাকের হাতে। মানুষ তাঁর বান্দা্ ও খলিফা। মুসলমানরা সেকথা ভুলে হয়ে গিয়েছিল রাজা বাদশাহ। তারা কিতাব ও গবেষণাগার ফেলে দিয়ে তলোয়ার হাতে নিয়েছিল। মুসলমানেরা বিষয়টা যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততই মংগল। ক্ষমতা ফেরাউন নমরুদেরও ছিল। তাদের করুণ পরিণতি কালামে পাকে বর্ণিত হয়েছে। আজকের ফেরাউনরাও একদিন জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। কিন্তু জ্ঞানের পায়বন্দী আখেরাত পর্যন্ত জারী থাকবে।

ফতোয়া ইজমা কায়স ইসতিহাদ হচ্ছে জ্ঞানের জগতে প্রবেশের আইন সম্মত দুয়ার। যারা ফতোয়ার বিরুদ্ধে লেগেছে তারা ইসলামের এবং মুসলমানদের মিত্র নয়। তারা মুসলমান নামধারী ইহুদীদের বন্ধু। বাংলাদেশে ইসলামের বিরুদ্ধ শক্তি পশ্চিমা জগতের প্রভাবশালীর গোস্ঠির এজেন্ট হয়ে কাজ করছে। আমরা তাদের নিয়মিত দেখছি, কিন্তু মুখ খুলে বলতে পারছিনা। তারা রাস্ট্রের সব জায়গায় ছড়িয়ে আছে। এদের মুখোশ খুলে দেয়ার সময় এসেছে। এদের ছোবল থেকে ইসলামকে রক্ষা করার জন্যে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।( ২২ এপ্রিল,২০১১। দৈনিক নয়া দিগন্ত।)

লেখক: কবি সাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক

ershadmz40@yahoo.com

Share this:

  • Twitter
  • Facebook

Like this:

Like Loading...

Related

Posted in Articles |

  • Archives

    • May 2018 (1)
    • February 2016 (1)
    • January 2016 (2)
    • December 2015 (2)
    • November 2015 (1)
    • October 2015 (1)
    • September 2015 (1)
    • August 2015 (4)
    • July 2015 (1)
    • June 2015 (4)
    • May 2015 (3)
    • April 2015 (4)
    • March 2015 (5)
    • February 2015 (2)
    • January 2015 (1)
    • December 2014 (10)
    • November 2014 (4)
    • October 2014 (6)
    • September 2014 (6)
    • August 2014 (4)
    • July 2014 (3)
    • June 2014 (5)
    • May 2014 (5)
    • April 2014 (11)
    • March 2014 (21)
    • February 2014 (27)
    • January 2014 (11)
    • December 2013 (1)
    • November 2013 (5)
    • October 2013 (12)
    • September 2013 (10)
    • August 2013 (3)
    • July 2013 (8)
    • June 2013 (5)
    • May 2013 (4)
    • April 2013 (6)
    • March 2013 (7)
    • February 2013 (5)
    • January 2013 (5)
    • December 2012 (4)
    • November 2012 (3)
    • October 2012 (2)
    • September 2012 (4)
    • August 2012 (3)
    • July 2012 (4)
    • June 2012 (5)
    • May 2012 (7)
    • April 2012 (5)
    • March 2012 (5)
    • February 2012 (4)
    • January 2012 (7)
    • December 2011 (8)
    • November 2011 (1)
    • October 2011 (7)
    • September 2011 (4)
    • August 2011 (2)
    • July 2011 (4)
    • June 2011 (8)
    • May 2011 (9)
    • April 2011 (8)
    • March 2011 (5)
    • February 2011 (4)
    • January 2011 (4)
    • December 2010 (7)
    • November 2010 (2)
    • October 2010 (8)
    • September 2010 (5)
    • June 2010 (1)
    • May 2010 (1)
    • February 2010 (2)
    • June 2009 (5)
    • May 2009 (32)
  • Categories

    • Articles (119)
    • উপন্যাস (1)
    • English Articles (1)
    • Political Column (45)
      • Free Thoughts (19)
    • Uncategorized (232)
  • Pages

    • Who Am I ?

Create a free website or blog at WordPress.com.

WPThemes.


Privacy & Cookies: This site uses cookies. By continuing to use this website, you agree to their use.
To find out more, including how to control cookies, see here: Cookie Policy
  • Follow Following
    • Writing From The Street ( রাস্তা থেকে বলছি )
    • Join 30 other followers
    • Already have a WordPress.com account? Log in now.
    • Writing From The Street ( রাস্তা থেকে বলছি )
    • Customize
    • Follow Following
    • Sign up
    • Log in
    • Copy shortlink
    • Report this content
    • View post in Reader
    • Manage subscriptions
    • Collapse this bar
%d bloggers like this: